জেনারেল বাজওয়ার নির্দেশেই ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়!

পার্লামেন্টে যে অনাস্থা ভোটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন, সেটি উত্থাপন করা হয়েছিল সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার নির্দেশনা অনুসারে। জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের (জেইউআই-এফ) আমির মাওলানা ফজলুর রহমান বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানান। খবর জিও টিভি।

ইমরান খান ও জেনারেল বাজওয়া

পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এব সাক্ষাৎকারে ফজলুর রহমান জানান, ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার ওই তৎপরতা চালানো হয়েছিল ২০২২ সালের এপ্রিলে। সে সময় নওয়াজ শরিফ নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএল–এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) বেশ কয়েকটি দল পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামের একটি জোটের মাধ্যমে সে তৎপরতা চালিয়েছিল। আর সে জোটের প্রধান ছিলেন ফজলুর রহমান।

ওই ঘটনার ব্যাপারে ফজলুর রহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলাম। কিন্তু অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছিল যে, আমি যদি তাতে সম্মতি না দিতাম, তাহলে আমার বিরুদ্ধে বলা হতো, আমি পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে রক্ষা করছি।

<class="imgCaption" style="display: block;">ফজলুর রহমান

পিটিআই সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায়। তারা ১৬ মাস সরকার চালানোর পর তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।

পিটিআই প্রধান ইমরান খান তার ক্ষমতাচ্যুতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন। মূলত পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা না করে চলাই তার জন্য কাল হয়। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি আরও খোলামেলাভাবে সেনাবাহিনীর ব্যাপারে কথা বলেন, বিশেষ করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য জেনারেল বাজওয়াকে দায়ী করেন।

৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ফল সম্পর্কে ফজলুর রহমান মন্তব্য করেন, জালিয়াতি করে পিএমএল-এনকে সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। তাই সরকারে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শাহবাজ শরিফ তাকে বিরোধী দলে বসার আহ্বান জানালে কোনো জবাব দেননি বলেও জানান ফজলুর রহমান।