অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী: জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে দেশে ফিরিয়ে আনার সময় হয়েছে

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছেন, ‘আমি খুব স্পষ্টভাবে এবং প্রকাশ্যে বলছি, যথেষ্ট হয়েছে। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে এখন দেশে ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে। আমি তার আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রাখছি।'

অ্যান্টনি আলবানিজ (বামে) ও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জের সম্ভাব্য প্রত্যর্পণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আলবানিজ উল্লেখ করেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। 

২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার লন্ডনে অ্যাসাঞ্জের দুই দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এসেছে। ব্রিটেন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রত্যর্পণ প্রতিরোধ করার এটিই শেষ সুযোগ হতে পারে।  

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার সরকার এই বিষয়ে উভয় দেশের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা একটি ফলাফল অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। 

তিনি বলেছেন, ‘এটি অন্য দেশের একটি আইনি প্রক্রিয়া। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য উভয়ের সঙ্গেই আমাদের কূটনৈতিকভাবে জড়িত হতে হবে। আমরা অবশ্যই তা করছি।' 

অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক অ্যাসাঞ্জকে দেশে ফিরিয়ে আনার অনুমতি দেওয়ার জন্য গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার সংসদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

অ্যাসাঞ্জ ২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের একটি কারাগারে আটক আছেন। ২০১০ থেকে ২০১১ সালে আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ সংক্রান্ত হাজার হাজার নথি ফাঁস করার অভিযোগে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হতে পারে। সেখানে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায় মার্কিন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে।

এদিকে ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে, অ্যাসাঞ্জকে প্রত্যর্পণ করা উচিত বলে আদেশ দিয়েছে। তার ভঙ্গুর মানসিক অবস্থায় তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর বিরোধিতা করে তিনি যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

এরপর ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্তকে বহাল রাখে। তীব্র আইনি লড়াইয়ের পর তৎকালীন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল তার প্রত্যর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। অ্যাসাঞ্জ এখন ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আদালতের অনুমতি চাইছেন।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি