ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার: মালয়েশিয়ায় উচ্চ সতর্কতা জারি

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি হোটেল থেকে একজন ইসরায়েলি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি হ্যান্ডগান ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে দেশটির কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।

রাজারউদ্দিন হোসেন, ফাইল ছবি

দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে মালয়েশিয়া সমর্থন দিয়ে আসছে। গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের মারাত্মক আগ্রাসনের শুরু থেকেই দেশটির নেতারা ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।

কুয়ালালামপুরের তেল আবিবের সঙ্গে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ইসরায়েলি নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতেও দেওয়া হয় না। এছাড়াও, মালয়েশিয়ার বন্দরে ইসরায়েলি বা ইসরায়েলগামী জাহাজের নোঙর করা নিষিদ্ধ।

৩৬ বছর বয়সী ওই ইসরায়েলি সন্দেহভাজনকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ছয়টি পিস্তল ও ২০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে জানিয়েছে, এই পরিমাণ অস্ত্র বহনের কারণ জানা যায়নি।

পুলিশ প্রধান রাজারউদ্দিন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘েসন্দেহভাজন ব্যক্তিটি কেন এতগুলো পিস্তল এবং গুলির প্রয়োজন বোঝা যাচ্ছে না। তিনি দাবি করেছেন যে ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে অন্য একজন ইসরায়েলি নাগরিককে হত্যা করার জন্য মালয়েশিয়ায় এসেছিলেন। কিন্তু তার দাবি সত্য কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ১২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। তখন থেকে তিনি বেশ কয়েকটি হোটেলে অবস্থান করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি প্রথমে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি জাল ফরাসি পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। পরে তিনি তার ইসরায়েলি পাসপোর্ট দেখান।

এই ঘটনার পর থেকে মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান ইব্রাহিম সুলতান ইসকান্দার এবং প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

শনিবার স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ ওই ইসরায়েলি সন্দেহভাজনকে অস্ত্র সরবরাহ এবং গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করার অভিযোগে তিন মালয়েশিয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে আরও একটি হ্যান্ডগান জব্দ করা হয়েছে।

সূত্র: আরব নিউজ