দুই ইসরায়েলি সেনাকর্মকর্তা বরখাস্ত!

গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী গাড়ি বহরে হামলা করে বিদেশি ত্রাণকর্মীদের হত্যার জন্য দুইজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এছাড়া এই ঘটনায় ভূমিকা থাকায় অন্য তিনজনকে তিরস্কার করা হয়েছে। এই কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর রুলস অব এনগেজমেন্ট লঙ্ঘন করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরায়েলের পতাকা

৫ এপ্রিল, শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। এই গুরুতর ঘটনার জন্য আমরা দায়ী এবং এটি হওয়া উচিত ছিল না এবং আমরা নিশ্চিত করব যে এটি আবার ঘটবে না।'   

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ৭ জন ত্রাণকর্মীকে হত্যার একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষ হয়েছে। মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডকে একটি গুরুতর ভুল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।    

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান বলেছেন, হামলায় জড়িত দুই সিনিয়র অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মূলত হামাস সদস্যদের টার্গেট করতে গিয়ে ভুল করে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি এটিকে ভুল শনাক্তকরণের একটি গুরুতর ব্যর্থতা বলে অভিহিত করেছেন।  

এদিকে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ডব্লিউসিকে বলেছে, এই হত্যার তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা উচিত। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বিশ্বাসযোগ্যভাবে তার নিজের ব্যর্থতা তদন্ত করতে পারেনি। 

অপরদিকে  পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলকে হামলার একটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। ত্রাণবহরে হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন পোলিশ নাগরিকও ছিলেন।   

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে আল জাজিরার সংবাদিক ররি চ্যাল্যান্ডস বলেছেন, 'ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রতিবেদনে বরখাস্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো উল্লেখ নেই। এটি মৃত ব্যক্তিদের পরিবার এবং তাদের বন্ধুদের জন্য ন্যায়বিচার নয়।' 

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকায় ১ এপ্রিল, সোমবার ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ডব্লিউসিকের ৭ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডিয়ান-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিক, একজন ফিলিস্তিনি নাগরিক, একজন পোলিশ ও একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ছিলেন।

সূত্র: আল জাজিরা, দ্য নিউ আরব