পিটিআই: বিচারকদের বিষাক্ত চিঠি পাঠানো সরকারের ষড়যন্ত্র

পাকিস্তানে বিচারকদের কাছে পাঠানো বিষাক্ত পাউডার মেশানো নিয়ে চিঠি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ওই ঘটনায় উল্টো সরকারকেই দায়ী করছে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই)।

ইসলামাবাদ হাইকোর্ট

দলটি বলছে, বিচারবিভাগকে ভয় দেখাতেই চিঠি পাঠানোর ষড়যন্ত্র সাজিয়েছে ক্ষমতাসীন সরকার। এআরওয়াই নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিচারকাজে গোয়েন্দাদের হস্তক্ষেপ নিয়ে হাইকোর্টের যে বিচারকরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাদের সবাইকে সম্প্রতি সাদা পাউডার লাগানো চিঠি পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর তারা সন্ত্রাসের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
চিঠিগুলো পাঠানো হয় বিচারপতি মুনিব আখতার, মুহাম্মদ আলি মাজহার, হাসান আজহার রিজভি, ইয়াহিয়া আফ্রিদি এবং আয়েশা মালিককের কাছে।

চিঠিগুলোর একটিতে সন্দেহজনক রাসায়নিক পাউডার লাগানো ছিল। ওই পাউডার আবিষ্কারের পরই অন্য বিচারকদের চিঠি না খোলার জন্য দ্রুত অনুরোধ জানানো হয়। ঘটনার সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়।

বিষয়টি জেনে পুলিশ ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ছুটে যায় এবং চিঠিগুলো উদ্ধার করে। কিন্তু এর মধ্যে চারটি চিঠি খুলে ফেলা হয়। চিঠিগুলো পাঠানো হয় তেহরিক নমুস-ই-পাকিস্তান নামে পরিচিত একটি সংগঠন থেকে। চিঠিতে বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করে হুমকি হিসেবে ‘ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস’ শব্দ ব্যবহার করে, যা মূলত অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি নির্দেশ করে।

অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া বা ব্যাসিলাস অ্যানথ্রেসিস মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর। এর মাধ্যমে রক্তে শক্তিশালী বিষাক্ত রাসায়নিক যুক্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। এর চিকিৎসার জন্য সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকের দীর্ঘ কোর্স দেওয়া হয়ে থাকে।

পিটিআই এক বিবৃতিতে বলেছে, জ্যেষ্ঠ বিচারকদের চিঠি পাঠিয়ে মূলত সরকার হুমকি দিয়েছে। আদালতের ওপর চাপ তৈরিতেই এটি বড় ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

এই ঘটনায় দলের নেতা ইমরান খান দ্রুত পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পিটিআই মুখপাত্র বলেন, ওই চিঠি পাঠানোর কারণ হলো, বিচারকরা যাতে আইন অনুযায়ী তাদের সিদ্ধান্ত না নেয়।