প্রতিরোধ অভিযানের নাম ‘আয়রন শিল্ড’ রাখল ইসরায়েল

ইরান গত শনিবার দিবাগত রাতে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। তেহরান এ অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘ট্রু প্রমিজ’। সেই হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) ইসরায়েলিরা তাদের প্রতিরোধ অপারেশনের নামকরণ করেছে ‘আয়রন শিল্ড’ নামে। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।

ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ইরানের হামলা

খবরে বলা হয়, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রতিরোধ অপারেশনের নামকরণ করে। ইরানি হামলার বাধাদানের এই কার্যক্রমকে তারা ‘আয়রন শিল্ড’ নাম দিয়েছে।

ইরান ও ইসরায়েলের বৈরিতা অনেক পুরোনো হলেও এর আগে কখনোই ইরানের ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালানো হয়নি। কিন্তু গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে চালানো ইসরায়েলের হামলায় চরম ক্ষুব্ধ হয় তেহরান। কারণ ওই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৬ জন নিহত হয়।

ইসরায়েলে ইরানের হামলা

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরান প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালায়। ‘ট্রু প্রমিজ নামের এই অপারেশনে জেরুজালেম, তেল আবিবসহ কয়েকটি শহরের বেশিকিছু স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ৩০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। অবশ্য মিত্র কয়েকটি দেশের সহায়তায় এসবের ৯৯ শতাংশকে ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। ওই হামলা-প্রতিরোধের একদিন পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাদের প্রতিরোধ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক নাম ঘোষণা করে ‘আয়রন শিল্ড’।

এ হামলার পর ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের এর চেয়ে অনেক বেশি কঠোর হামলার চালানোর সক্ষমতা রয়েছে। তবে আমরা কেবল দামেস্কে হামলার সঙ্গে জড়িত স্থান ও স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছি। ইসরায়েল যদি আর কোনো কিছু না করে তাহলে আমাদের অভিযান আপাতত শেষ। তবে তারা যদি কোনো ধরনের হামলা চালায়, তাহলে আমরা তার পুরোপুরি প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত আছি।

এদিকে ইসরায়েলে সুযোগ মতো যে কোনো সময়ে ইরানে হামলা চালানোর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি এ ধরনের হামলা চালায়, তাহলে তাতে যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই যুক্ত হবে না।

মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ইরানে সাইবার হামলা, জ্বালানি অবকাঠামোর মতো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সাইটগুলোকে হামলা, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মী ও অবকাঠামোতে হামলা বা তাদের প্রক্সিদের (হামাস, হিজবুল্লাহ, হুথি) ওপর হামলা চালাতে পারে।