পরিবারের কারও হার্ট এটাক হলে স্বাভাবিকভাবেই সবাই একটু বেশ চিন্তায় থাকেন। তবে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ভয়ে থাকেন যিনি হার্ট এটাক করেন তিনি নিজেই। সে সময় তার মনোবল ধরে রাখার জন্য পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য খুবই প্রয়োজন। হার্ট এটাক পরবর্তী জীবন যাপনের যে নিয়ম ডাক্তাররা বেঁধে দেন তা অনুসরণ করা খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা থাকতে হয় সবচেয়ে বেশি।

হার্ট এটাকের পরবর্তী কয়েকদিন রোগীকে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে দিন। রোগী খেতে চাইলেও এ কাজ থেকে তাঁকে বিরত রাখতে হবে। অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে তাঁকে ক্যালোরিযুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। তবে রোগী মোটা হয়ে থাকলে ক্যালোরির পরিমাণ কম দেয়াই ভালো।

ডিম খেতে দেয়ার ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ঘন ঘন ডিম খেতে দেয়া যাবে না। দুধের ক্ষেত্রেও একই কথা। তবে ননীবিহীন দুধ পাওয়া গেলে রোগীকে খাওয়ানো যেতে পারে। কারণ এই দুধ কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিদিনিকার খাবারের সাথে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট-এর পরিমাণ বাড়াতে হবে। এরই সাথে রোগীকে রিফাইনড ও প্রসেসড চিনিও খুব বেশি খেতে দেয়া যাবে না।

খাবার অবশ্যই নরম করে রান্না করার ব্যবস্থা করুন। যেসব খাবার সহজপাচ্য সেসব খাবার খেতে দিন। আঁশ জাতীয় খাবার দিলে খাবার হজম হতে সহায়ক হবে। ক্যাফেইন জাতীয় পানি পুরোপুরি বাদ দিন খাবার তালিকা থেকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড খাবার তালিকায় রাখুন বা রাখার চেষ্টা করুন।

দুধ ছাড়া চা, আপেল, রসুন ইত্যাদি হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারি। তবে পেটে গ্যাস উৎপাদন করে এমন খাবার বাদ দিন। উৎপন্ন পেটের গ্যাস হৃৎপিণ্ডে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সবশেষে সবার সম্মিলিত চেষ্টাই পারে একজন রোগীকে সুস্থ করে তুলতে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

মৃত মুরগীর গ্রিল-শর্মা খাচ্ছেন না তো?

কাঁচা আমের গুণ

প্রচণ্ড গরমেও সুস্থ থাকুন

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.