প্রতিশোধ: ইসরায়েলে ২ শতাধিক রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ!

লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে ২ শতাধিক রকেট এবং ড্রোন ছুড়েছে তারা। ৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার এই হামলা চালানো হয়েছে।

ছবি - সংগৃহীত

ইরান সমর্থিত সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটির একটি সূত্র আল জাজিরাকে বৃহস্পতিবারের এই প্রতিশোধমূলক হামলার খবর নিশ্চিত করেছে। এর আগের দিন দক্ষিণ লেবাননের উপকূলীয় শহর টায়ারের কাছে মোহাম্মদ নিমাহ নাসের নামের একজন জ্যেষ্ঠ হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত হন।

নাসের ‘হজ আবু নিমাহ’ নামেও পরিচিত ছিলেন। প্রায় ৯ মাস ধরে চলা লেবানন-ইসরায়েল আন্তঃসীমান্ত লড়াইয়ে তিনিসহ হিজবুল্লাহর মোট তিন জন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। গত মাসে ইসরায়েলি হামলায় আরেকজন সেক্টর প্রধান নিহত হয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবারের হামলাটি লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হামলা ছিল। হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েল এবং দখলকৃত সিরিয়ার গোলান মালভূমির কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরক ড্রোন হামলা করার কারণে সম্প্রতি এই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েছে।  

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দক্ষিণ লেবাননে পাল্টা হামলা করেছে তাদের বাহিনী।

এতে আরও বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর রকেট হামলার পর উত্তর ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি সেনাদের একটি গাড়িতে আঘাত করেছে। একর শহরের দুটি ভবন লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই হামলায় আহত দুই নারীকে উত্তর ইসরায়েলের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, পশ্চিমের নাহারিয়া থেকে পূর্বে গোলান পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অংশে ৯০ মিনিটের মধ্যে ১৭ টি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।  

এদিকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ঠেকাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় এবং আরব দেশগুলো। উভয়পক্ষের মধ্যে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে তা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। 

সূত্র: আল জাজিরা