ক্ষমতাচ্যুতির পর শেখ হাসিনার ‘প্রথম বিবৃতি’

জনবিস্ফোরণের মুখে সরকার পতনের পর ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলনের নামে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও তদন্ত দাবি করেছেন। একইসাথে তিনি দোষীদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আজ রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মা'র এই বিবৃতি প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এই বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৪০০'রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত জুলাই মাস থেকে বিক্ষোভের নামে যে সকল সহিংসতা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তাতে অনেক প্রাণহানি হয়েছে, অনেকে আহত হয়েছেন। নিহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পুলিশ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, গর্ভবতী পুলিশ সদস্য, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, পথচারী এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ - সকলের জন্য আমি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একইসঙ্গে আহতদের সুস্থতার জন্য কামনা করেন।

বিবৃতিতে হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করেন, যেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

শেষে তিনি সকলকে আসন্ন ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য এবং বঙ্গবন্ধু ভবনে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং প্রার্থনা করার জন্য আহ্বান জানান।