অস্ত্র ব্যবসায় গতি আনতে গিয়ে ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বব্যাপী অস্ত্র সরবরাহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ রাজস্বের উৎস। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে প্রায়শই এই সরবরাহ প্রক্রিয়া ধীরগতির হয়। এই সমস্যা সমাধানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর ‘প্রতিরক্ষাবিষয়ক সরঞ্জাম বিক্রয় সংস্কার’ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।

মেজর জেনারেল ওয়াল্টার পিয়াট এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প, ২০১৮ সালের ছবি

এই আদেশের ফলে মিত্ররাষ্ট্রগুলোর জন্য মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা লাভ সহজতর হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা এই নীতির মধ্যে প্রযুক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি দেখতে পাচ্ছেন।

বুলগেরিয়ান মিলিটারি ডটকমের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের এই আদেশের লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ প্রক্রিয়া দ্রুততর করা। এজন্য পুরনো নিয়মকানুন সংশোধন করে নতুন বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে।

আদেশে বিদেশে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির জটিলতা সহজতর করার পাশাপাশি তদারকি বৃদ্ধির মাধ্যমে অস্ত্র সরবরাহ দ্রুত নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মূলত এর লক্ষ্য হলো অস্ত্র সরবরাহে একটি দক্ষ ও কার্যকর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমবে এবং মিত্ররাষ্ট্রগুলোর মার্কিন প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার সহজ হবে। এর প্রভাব মার্কিন অস্ত্র কারখানা থেকে শুরু করে বিশ্বের যুদ্ধক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।

এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রয় এবং সরবরাহ প্রক্রিয়া ধীরগতির ছিল। ট্রাম্প এই জটিলতা দূর করে প্রক্রিয়াটিকে গতিশীল করতে চান। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক সরঞ্জামের প্রভাব বৃদ্ধি করা এই পদক্ষেপের অন্যতম লক্ষ্য।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের মতো পণ্য সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের সময়ক্ষেপণের ইতিহাস রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এখন এই ধরনের বিনিময় দ্রুত সম্পন্ন করতে আগ্রহী।