দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু, দুই প্যাকেজে মিলছে সেবা

স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশে। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি। আগের দিন অবশ্য ফোনকলের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীকে।

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো ইলন মাস্কের স্টারলিংক

স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রার কথা নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ফয়েজ আহমদ বলেন, বাংলাদেশে স্টারলিংক অফিসিয়ালি যাত্রা শুরু করলো। সোমবার বিকেলে ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যেই দেশে স্টারলিংকের কার্যক্রম চালু নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশা বাস্তবে রূপ পেল।

জানা গেছে, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করেছে। প্যাকেজ দুটি হচ্ছে, স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। প্রথমটির মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা, দ্বিতীয়টির খরচ পড়বে ৪২০০ টাকা। এছাড়াও সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য এককালীন খরচ হবে ৪২ হাজার টাকা।

তথ্যমতে, স্টারলিংকের ইন্টারনেটে কোনো স্পিড ও ডেটা লিমিট নেই। ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করা যাবে। আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন বাংলাদেশের গ্রাহকরা।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ বলেন, কিছুটা খরুচে হলেও স্টারলিংকের মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে।

ফয়েজ আহমদ আরও বলেন, যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ পাব। ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা সারা বছর নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন এখন থেকে।

বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর মাধ্যমে ইলন মাস্কের স্টারলিংক দক্ষিণ এশিয়ার নতুন বাজারে প্রবেশ করলো। একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করলো স্টারলিংক।