আপনি পড়ছেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলমান অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের কেন্দ্রস্থলে রাতে কারফিউ জারি করেছেন।

los angeles 1লস অ্যাঞ্জেলেস

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) মেয়র ব্যাস লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যাতে দুষ্কৃতকারীরা কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সেজন্য আমি আজ রাত ৮টা থেকে ডাউনটাউন লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি করেছি। আপনি যদি ডাউনটাউনে বসবাস বা কাজ না করেন, তবে এলাকাটি এড়িয়ে চলুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারফিউ লঙ্ঘনকারীদের গ্রেপ্তার করবে এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’

এক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ব্যাস জানান, এই কারফিউ বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং তা ‘বেশ কয়েক দিন’ স্থায়ী হতে পারে। ডাউনটাউনের প্রায় এক বর্গমাইল এলাকাজুড়ে এই কারফিউ কার্যকর থাকবে, যার মধ্যে এডওয়ার্ড আর. রয়বাল ফেডারেল বিল্ডিং এবং সিটি হলও অন্তর্ভুক্ত।

এর আগে মঙ্গলবার, নর্থ ক্যারোলাইনার ফোর্ট ব্র্যাগে সেনা সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরকে ‘স্বাধীন’ করার অঙ্গীকার করেন। তিনি দাবি করেন, তার ব্যাপক নির্বাসন কর্মসূচির কারণে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ হলো ‘শান্তি, জনশৃঙ্খলা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর একটি পুরোদস্তুর আক্রমণ, যা বিদেশি পতাকা বহনকারী দাঙ্গাকারীরা আমাদের দেশে বিদেশি আগ্রাসন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চালাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এবং মেয়র ব্যাস ‘অযোগ্য’ এবং তারা ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী, উস্কানিদাতা ও বিদ্রোহীদের অর্থ দিয়েছেন।’ তার মতে, তারা ‘ফেডারেল আইনকে অকার্যকর করতে এবং অপরাধী অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে শহর দখল করাতে ইচ্ছাকৃতভাবে চেষ্টা করছেন।’

তবে পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট তার এই মন্তব্য থেকে কিছুটা সরে আসার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি গভর্নর বা মেয়রের কথা বলিনি। আমি বলেছি, আমার মনে হয় কেউ একজন তাদের অর্থ দিচ্ছে। আর যদি তা না-ও হয়, তবে তারা কেবলই ঝামেলা সৃষ্টিকারী। আমি আর কী বলতে পারি? তবে আমি বিশ্বাস করি, কেউ তাদের অর্থ দিচ্ছে।’

গভর্নর নিউসম এবং মেয়র ব্যাসের সতর্কতা উপেক্ষা করে ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় প্রায় ৪,০০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য এবং ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করেছেন। তারা সতর্ক করেছিলেন যে এই পদক্ষেপ ইতোমধ্যে চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে আরও উস্কে দেবে।

এদিকে, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসের অবৈধ সামরিকীকরণ’ ঠেকানোর জন্য গভর্নর নিউসমের একটি নিষেধাজ্ঞা আদেশের আবেদন একজন ফেডারেল বিচারক খারিজ করে দিয়েছেন। এর পরিবর্তে, নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট অফ ক্যালিফোর্নিয়ার সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট জজ চার্লস ব্রায়ার নিউসমের আবেদনের শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টরা স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বসবাস করার সন্দেহে শত শত মানুষকে আটক করার পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বিরোধিতা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন এই অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এই অভিযানের সমালোচকরা বলছেন, আইসিই আইন মেনে চলা নথিবিহীন অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে, যারা স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অথচ, গত বছর হোয়াইট হাউসে ফেরার নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প অপরাধীদের নির্বাসিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.