‘যুদ্ধাপরাধী’ পুতিনের বিচার চান জেলেনস্কি, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে চুক্তি

ইউক্রেনে সামরিক আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিযুক্ত করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে পুতিনের বিচার চাইলেন জেলেনস্কি। খবর আল জাজিরার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনসহ রাশিয়ার কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে কাউন্সিল অব ইউরোপের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ শহরে কাউন্সিল অব ইউরোপের সদরদপ্তরে বুধবার চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ৪৬ সদস্যের কাউন্সিল অব ইউরোপের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন সংস্থার সেক্রেটারি-জেনারেল অ্যালাইন বেরসেট।

জেলেনস্কি বলেন, আমাদের স্পষ্টভাবে দেখাতে হবে যে কোনো আগ্রাসন শাস্তির দিকে নিযে যায়। আমাদের অবশ্যই এক্ষেত্রে সমস্ত ইউরোপকে একসঙ্গে হতে হবে।

জেলেনস্কি বলেন, পুতিনসহ প্রতিটি রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি করা নিশ্চিত করার জন্য দৃঢ় রাজনৈতিক এবং আইনি সাহসের প্রয়োজন হবে।

ইউক্রেন থেকে অবৈধভাবে শিশুদের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথিত যুদ্ধাপরাধের জন্য পুতিন ইতিমধ্যেই হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কর্তৃক জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মুখোমুখি।

যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যা তদন্তের এখতিয়ার আইসিসির রয়েছে, কিন্তু অন্য কোনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘আগ্রাসনের অপরাধ’ বা সশস্ত্র শক্তি প্রয়োগের তদন্তের এখতিয়ার আইসিসির নেই।

রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার এই ‘আগ্রাসনের অপরাধ’ বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালটি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে ট্রাইব্যুনালটি পুতিনসহ রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার করতে পারে।

ট্রাইব্যুনালটি কোথায় অবস্থিত হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আইসিসির আবাসস্থল হেগ সেক্ষেত্রে যথার্থ হতে পারে।

এই প্রথমবারের মতো মহাদেশের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা কাউন্সিল অব ইউরোপের তত্ত্বাবধানে এই ধরণের ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে।

৪৬ সদস্য রাষ্ট্রের কাউন্সিল অব ইউরোপ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অংশ নয় এবং তবে ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইউরোপীয় কাউন্সিলের সদস্য এবং তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেনের মতো অ-ইইউ রাষ্ট্র সদস্য হিসেবে রয়েছে। ইউক্রেনে সামরিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়াকে সংস্থাটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।