পিঠে ব্যথা কেনো হয়

সারাদিনে কাজের ধকল কারোরই কম যায় না। এত শত শত কাজ করার পর মাঝে মাঝেই আমাদের পিঠে কিংবা মেরুদণ্ডে ব্যথা হয়। ঠিক কোন কাজটার জন্য আসলে এই ব্যথার উৎপত্তি টা হাজার খুঁজেও পাই না আমরা। চলুন দেখে নেয়া যাক কী কী কাজের জন্য মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে।

চেয়ারের উপর বাঁকা হয়ে অনেকক্ষণ ধরে বসে থাকলে শরীরের শক্তির অপচয় হয়। তখন  মাংসপেশিতেও চাপ পড়ে। তাই বাঁকা হয়ে কিংবা কুঁজো হয়ে বসলে পিঠে বা মেরুদন্ডে ব্যথা হতে পারে।

অনেকক্ষণ ধরে চেয়ারে বসে থাকার কাজ করতে হলে সঠিক নিয়মে বসার চেষ্টা করুন। টেবিলের খুব কাছাকাছি বসুন। চেষ্টা করুন যেনো ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে বসা যায়। ৯০ ডিগ্রির চেয়ে কম বা বেশি এঙ্গেলে বসলে পিঠের ব্যথা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।

দীর্ঘক্ষণ কাজের ফাঁকে বিরতি নেয়াটা খুবই বুদ্ধিমানের কাজ। খুব লম্বা সময়ের জন্য বিরতি না নিলেও চলবে। প্রতি এক কিংবা দুই ঘণ্টায় ৫-১০ মিনিটের ব্রেক নিন।

শুনতে অবাক লাগলেও সত্য যে, মানসিক চিন্তা বা চাপের জন্যও পিঠে ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপে পেশী ও ঘাড়েও ব্যথা হয়। এজন্য সবসময় শান্ত থাকার অভ্যাস করুন। চেষ্টা করুন অবসরের সময়টুকু সব ভুলে আনন্দের কাটানোর।

ব্যায়াম অনেক রোগের মহৌষধ। ব্যায়ামের অভাবে পিঠে ব্যথা হতে পারে। নিয়মিত হাঁটলে পিঠ ব্যথার নিরাময় হয়।

ঘরে থাকা অনেক দিনের পুরনো তোশকের কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে। তাই সাধারণত ৭ বছর পরই বিছানার তোশক পরবর্তন করা উচিত। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা পাঁচ বছরের মধ্যে নিয়মিত তোশক পরিবর্তন করেছেন তাঁরা পিঠ ব্যথায় কম ভুগেছেন।

 এছাড়া ভারি ব্যাগ বহন, বাইক চালানো এবং উঁচু জুতা পরার কারণেও মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

মুখ ও দাঁতের যত্ন

বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে হৃদরোগ

মাত্র ১ মিনিটেই ঘুমাবে বাবু