পশ্চিম তীরের ৬৩টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানকে 'ইসরায়েলি ঐতিহ্যবাহী স্থান' হিসেবে ঘোষণা

অধিকৃত পশ্চিম তীরের ৬৩টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানকে ‘ইসরায়েলি ঐতিহ্যবাহী স্থান’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। জেরুজালেমভিত্তিক ফিলিস্তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাপ্লাইড রিসার্চ ইনস্টিটিউট–জেরুজালেম (এআরআইজে) এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

‘নাবলুস গভর্নরেটের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা: ইসরায়েলি দখল পরিকল্পনার একটি উন্মুক্ত ক্ষেত্র’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনটি তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু পর্যালোচনা করেছে। 

এআরআইজে এর প্রতিবেদনে ইসরায়েলের এ ধরনের পদক্ষপকে আন্তর্জাতিক আইন এবং বাধ্যবাধকতার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানানো হয়েছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর অধীনে ইসরায়েলি বেসামরিক প্রশাসনের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মতি আলমোজ স্বাক্ষরিত সামরিক নির্দেশনার একটি বুকলেটে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ৬৩টি স্থানকে 'ইসরায়েলি ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান' হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।  

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক এই স্থানগুলোর মধ্যে ৫৯টি নাবলুস গভর্নরেটে, তিনটি রামাল্লা গভর্নরেটে এবং একটি সালফিট গভর্নরেটে অবস্থিত।  

এআরআইজে বলেছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোকে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু করা 'কেবল প্রশাসনিক বা আইনি বিষয় নয়, বরং ফিলিস্তিনি ঐতিহ্য দখল করার লক্ষ্যে একটি পদ্ধতিগত নীতির অংশ।'  

জেরুজালেমভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ঐতিহ্য,পরিচয়কে বিকৃত করে ইসরায়েলি বয়ান প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নাবলুস গভর্নরেটে বেশিরভাগ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ইসরায়েলি ফাঁড়ি, বসতি বা অন্যান্য উপনিবেশিক স্থাপনার কাছাকাছি অবস্থিত। 

এআরআইজে'র প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, 'ফিলিস্তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে ইসরায়েলি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন, আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনি জাতীয় পরিচয়ের জন্য সরাসরি হুমকি।'

এআরআইজে জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীরের ২ হাজার ৪০০ টিরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানকে ইসরায়েলি স্থান হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে।   

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি