ইউক্রেনের দূরপাল্লার হামলা আটকে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র

কয়েক মাস ধরে রাশিয়ার ভূখণ্ডে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো থেকে ইউক্রেনকে বিরত রেখেছে পেন্টাগন। এর ফলে মস্কোর বিরুদ্ধে কিয়েভের শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়েছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের বসন্তের শেষ দিক থেকে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সম্প্রতি ইউক্রেন রাশিয়ার অভ্যন্তরে একটি লক্ষ্যবস্তুতে এটিএসিএমএস ব্যবহারের চেষ্টা করলেও পেন্টাগন তাতে অনুমোদন দেয়নি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, পেন্টাগনের এই নীতির পেছনে রয়েছে হোয়াইট হাউসের শান্তি আলোচনার প্রচেষ্টা। মস্কোকে শান্তি আলোচনায় রাজি করাতেই এই মুহূর্তে ইউক্রেনকে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখতে চাইছে হোয়াইট হাউস।

এই ধরনের হামলার অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা কেবল মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের রয়েছে। শুধু এটিএসিএমএস নয়, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সরবরাহ করা স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। কারণ, এই অস্ত্রগুলো পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নির্দেশনামূলক তথ্য প্রয়োজন হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই নীতির মূল প্রণেতা উপ-প্রতিরক্ষা সচিব এলব্রিজ কলবি। তার কাছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাত মোকাবিলা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, এর জন্য তিনি অন্যান্য অঞ্চলে মার্কিন সামরিক সম্পৃক্ততা কমানোকেও যৌক্তিক মনে করেন। গত জুলাই মাসের শুরুতে ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ সাময়িকভাবে স্থগিত করার পেছনেও তিনি জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, এই নীতি কার্যকরভাবে বাইডেন প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তকে বাতিল করেছে, যেখানে ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, ‘শুধুমাত্র প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়ে কোনো যুদ্ধ জয় করা সম্ভব নয়।’ তবে সংবাদমাধ্যমটির ভাষ্যমতে, ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কোনো বাস্তব প্রভাব দেখা যায়নি।