পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে চীনকেও চায় যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র সীমিতকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। একইসঙ্গে এই নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টায় চীনকেও অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।

সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা পারমাণবিক অস্ত্র সীমিত করার বিষয়ে কথা বলছি এবং আমরা চীনকেও এর মধ্যে নিয়ে আসব’। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি (পারমাণবিক অস্ত্র) আছে। রাশিয়ার কাছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং চীনের কাছে তৃতীয় সর্বোচ্চ।’

ট্রাম্প জানান, পারমাণবিক সক্ষমতার দিক থেকে বেইজিং এখন ওয়াশিংটন এবং মস্কোর চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও তাদের পারমাণবিক শক্তি দ্রুত বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘চীন অনেক পিছিয়ে থাকলেও আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা আমাদের ধরে ফেলবে’।

সুইডেনের স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় ৯০ শতাংশই রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দখলে রয়েছে। সংস্থাটির হিসাবে, চীনের কাছে বর্তমানে অন্তত ৬০০টি পারমাণবিক ওয়্যারহেড আছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ুং-এর সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি নিরস্ত্রীকরণ একটি বড় বিষয়, রাশিয়া এটি করতে ইচ্ছুক এবং আমার ধারণা চীনও এটি করতে আগ্রহী হবে’। পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র থামাতে হবে। এর ক্ষমতা অনেক বেশি’।

ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, গত ১৫ আগস্ট পুতিনের আলাস্কা সফর আলোচনার প্রতি তার আন্তরিকতার প্রমাণ। তিনি বলেন, ‘তিনি যে আমাদের দেশ আলাস্কায় গিয়েছিলেন, আমি মনে করি এটি একটি বড় বার্তা যে তিনি বিষয়টি সম্পন্ন করতে চান’।

তবে, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান হামলা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘তার (পুতিন) সঙ্গে আমার প্রতিটি আলোচনাই ভালো হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এরপরই কিয়েভে বোমা হামলা চালানো হয়... এবং তখন আমি খুব ক্ষুব্ধ হই’।