আপনি পড়ছেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে ওঠা ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী আচরণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তিনি স্বৈরশাসক নন। ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় সেনা মোতায়েনের চলমান প্রচেষ্টা এবং অন্যান্য শহরেও এই পদক্ষেপ সম্প্রসারণের হুমকির প্রেক্ষাপটে সমালোচনার জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সামনে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘অনেকেই বলছে, ‘হয়তো আমরা একজন স্বৈরশাসক চাই।’ আমি স্বৈরশাসক পছন্দ করি না। আমি স্বৈরশাসক নই। আমি সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন এবং একজন বুদ্ধিমান মানুষ।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি দেখি আমাদের শহরগুলোর কী অবস্থা হচ্ছে, এবং সেখানে সেনা পাঠালে প্রশংসার পরিবর্তে তারা বলছে আপনি প্রজাতন্ত্র দখল করার চেষ্টা করছেন। এসব লোক অসুস্থ।’

দেশের রাজধানীতে সামরিক বাহিনীকে পুলিশি কাজে ব্যবহার করার জন্য ট্রাম্প সমালোচনার মুখে পড়েছেন, এমনকি কয়েকজন রিপাবলিকান নেতাও এর সমালোচনা করেছেন। বাল্টিমোর এবং শিকাগোসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলোতে সেনা পাঠানোর বিষয়টি তিনি বিবেচনা করছেন। উল্লেখ্য, ১৮৭৮ সালের ‘পসি কমিটাটাস আইন’ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক আইন প্রয়োগকারী কার্যক্রমে জড়িত হওয়া থেকে সাধারণত বিরত রাখা হয়েছে।

সাধারণত, কোনো অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের অনুরোধে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর দেশের অভ্যন্তরে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়। তবে ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসিতে অপরাধজনিত জরুরি অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে দাবি করে সেখানে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ও তার রাজনৈতিক মিত্ররা বিভিন্ন শহরের সরকারি অপরাধের তথ্যকে অবজ্ঞা করার চেষ্টা করছেন। ওয়াশিংটন ডিসি এবং বাল্টিমোরে অপরাধমূলক কার্যকলাপের প্রকৃত চিত্র সরকারিভাবে গোপন করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ তুলেছেন। তবে এসব অভিযোগের সপক্ষে ট্রাম্পের কর্মকর্তারা এখনো কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।

ওয়াশিংটনে টানা ১২ দিন কোনো নথিভুক্ত হত্যাকাণ্ড না হওয়ার কৃতিত্ব দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট, যা তার মতে অভূতপূর্ব। কিন্তু শহরটিতে এই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত টানা ১৬ দিনের একটি পর্ব ছিল যখন কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই বছর দেশের রাজধানীতে এখন পর্যন্ত ১০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম।

ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী এখন তার ইচ্ছামতো যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো শহরে মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুত, এমনকি যদি সেই অঙ্গরাজ্যের গভর্নর সহায়তার জন্য অনুরোধ না-ও করেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, কোনো শহরে যাওয়ার আগে তিনি সেখানকার কর্তৃপক্ষের অনুরোধ পেতে বেশি আগ্রহী।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.