আপনি পড়ছেন

সিসিলি দ্বীপকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে ইতালির প্রস্তাবিত মেসিনা প্রণালীর সেতু নির্মাণ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বিরোধ দেখা দিয়েছে। ইতালি এই সেতুর নির্মাণ ব্যয়কে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা খাতের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল, কিন্তু ওয়াশিংটন এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। বিষয়টি নিয়ে দুই মিত্র দেশের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

কালাব্রিয়ান উপকূলে প্রায় ১৩.৫ বিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে ইতালিতে নির্মিত হবে বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু...

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ডানপন্থী জোট সরকার সম্প্রতি প্রায় ১ হাজার ৩৫০ কোটি ইউরো (প্রায় ১ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার) ব্যয়ে এই সেতু নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। মেলোনি সরকার চেয়েছিল, এই সেতুকে একটি ‘কৌশলগত নিরাপত্তা অবকাঠামো প্রকল্প’ হিসেবে দেখিয়ে এর ব্যয়কে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা তহবিলের অংশ করা হোক। গত জুনে ন্যাটো সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তায় বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছিল, আর ইতালি সেই লক্ষ্য পূরণের জন্যই এই পথ বেছে নিতে চেয়েছিল।

তবে ইতালির এই প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। ন্যাটোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ হুইটেকার সম্প্রতি ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় মিত্রদের সতর্ক করে বলেছেন, ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য তাদের সৃজনশীল হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত নয়। তিনি জোর দিয়ে জানান, যে সেতুর কোনো কৌশলগত সামরিক গুরুত্ব নেই, তা ন্যাটোর ৫ শতাংশ ব্যয়ের অংশ হতে পারে না।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এমন মন্তব্যের পর ইতালির পরিবহন ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মেসিনা প্রণালীর সেতুতে বর্তমানে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় অর্থে অর্থায়ন করা হচ্ছে এবং এর জন্য কোনো প্রতিরক্ষা তহবিল বরাদ্দ করা হয়নি।’ মন্ত্রণালয় আরও স্পষ্ট করে জানায়, এই মুহূর্তে সেতু প্রকল্পে ন্যাটোর তহবিল ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনায় নেই এবং এটি কোনো অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ও নয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

ইতালির প্রস্তাবিত মেসিনা প্রণালীর সেতুকে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত করার একটি প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বিরোধ দেখা দিয়েছে। সিসিলি দ্বীপকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে এই বিশালাকার সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রকল্পটি দেশের অভ্যন্তরে আগে থেকেই একটি বিতর্কিত বিষয় ছিল, তবে এবার এটি ভিন্ন আঙ্গিকে একটি আন্তর্জাতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ডানপন্থী জোট সরকার সম্প্রতি এই সেতু নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ইউরো (প্রায় ১ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার)। মেলোনি সরকার এই সেতুকে একটি ‘কৌশলগত নিরাপত্তা অবকাঠামো প্রকল্প’ হিসেবে ন্যাটোতে উপস্থাপনের কথা বিবেচনা করেছিল। গত জুনে দ্য হেগে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত খাতে বিনিয়োগের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। ইতালি এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অংশ হিসেবে সেতুটির ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল।

তবে ইতালির এই প্রস্তাবে ওয়াশিংটনে উদ্বেগ তৈরি হয়। ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ন্যাটোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ হুইটেকার ইউরোপীয় মিত্রদের সতর্ক করে বলেছেন, ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য তাদের সৃজনশীল হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে সেতুর কোনো কৌশলগত সামরিক মূল্য নেই, তা এই ৫ শতাংশ ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না।

হুইটেকারের মন্তব্যের জবাবে ইতালির পরিবহন ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মেসিনা প্রণালীর সেতুতে বর্তমানে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় অর্থে অর্থায়ন করা হচ্ছে এবং এর জন্য কোনো প্রতিরক্ষা তহবিল বরাদ্দ করা হয়নি। এই মুহূর্তে ন্যাটোর তহবিল ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনায় নেই এবং এটি কোনো অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ও নয়।’ এর মাধ্যমে ইতালি স্পষ্ট করে যে, সেতু প্রকল্পে ন্যাটোর তহবিল ব্যবহার করা হবে না।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.