ফিলিস্তিন প্রশ্নে সম্মেলন: জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল একঘরে

ফিলিস্তিন প্রশ্নে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন পুনরায় শুরুর পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) নেওয়া এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। তাদের মতে, এই উদ্যোগ শান্তি প্রচেষ্টার জন্য ক্ষতিকর এবং তারা এই প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন ঘোষণা করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে গত ৩০ জুলাই সম্মেলনটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের উপস্থিতিতে জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নতুন করে এই সম্মেলন শুরু হবে। এর মূল লক্ষ্য হলো ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা।

এই উদ্যোগের পক্ষে সৌদি আরব ও ফ্রান্স জোরালো ভূমিকা রাখছে। ভোটের আগে জাতিসংঘে সৌদি প্রতিনিধি আব্দুলআজিজ আলওয়াসিল রিয়াদ ও প্যারিসের পক্ষে বলেন, ‘এ উদ্যোগটি কোনো নির্দিষ্ট পক্ষ বা দলের বিরুদ্ধে নয় বরং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক সিদ্ধান্তসমূহ রক্ষার এক যৌথ প্রতিশ্রুতি।’ তিনি আরও জানান, ফিলিস্তিনের মাটিতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এবং ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও মানবিক দুর্ভোগের কারণে এই প্রক্রিয়াকে থেমে যেতে দেওয়া যায় না।

অন্যদিকে, ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তকে ‘প্রক্রিয়াগত হয়রানি’ এবং ‘গভীরভাবে অস্বচ্ছ’ বলে অভিযোগ করেছে। ইসরায়েলি প্রতিনিধি বলেন, ‘এটি শান্তি স্থাপনের গুরুতর প্রচেষ্টা নয়, এটি একটি প্রদর্শনী, একটি প্রচারণামূলক কৌশল। শান্তি এগিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে এটি যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে পারে, হামাসকে উৎসাহিত করতে পারে এবং প্রকৃত কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ সন্ত্রাসীদের কাছে ভুল বার্তা দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রও আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সম্মেলন ও সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবের কোনো ‘বৈধতা নেই’ বলে জানিয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, ‘এই সম্মেলন হলো অসময়ে আয়োজন করা লোকদেখানো একটি উদ্যোগ’, যা প্রকৃত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে পারে। তিনি এটিকে ‘৭ অক্টোবরের হামলার শিকারদের প্রতি অপমান’ হিসেবে উল্লেখ করে জানান, ওয়াশিংটন এই সম্মেলনে অংশ নেবে না।

ফিলিস্তিন প্রশ্নে শান্তিপূর্ণ দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বিষয়ক একটি উচ্চ-পর্যায়ের আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু করার পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) নেওয়া এ সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের পথ উন্মোচন করা। খবর আরব নিউজের।

মধ্যপ্রাচ্যের সহিংসতা ও অস্থিরতার কারণে সম্মেলনটি গত ৩০ জুলাই সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছিল। রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের উপস্থিতিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে নতুন করে এ সম্মেলন শুরু হবে ।

সৌদি আরব ও ফ্রান্স এ উদ্যোগের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এর বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়ে নিজেদের এ সিদ্ধান্ত থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘোষণা করেছে। এ উদ্যোগকে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং শান্তি প্রচেষ্টার জন্য ক্ষতিকর বলে বর্ণনা করেছে।

প্রস্তাবের ওপর ভোটের আগে বক্তৃতায়, জাতিসংঘে সৌদি প্রতিনিধি আব্দুলআজিজ আলওয়াসিল রিয়াদ ও প্যারিসের পক্ষে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ‘এ উদ্যোগটি কোনো নির্দিষ্ট পক্ষ বা দলের বিরুদ্ধে নয় বরং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক সিদ্ধান্তসমূহ রক্ষার এক যৌথ প্রতিশ্রুতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনের মাটিতে পরিস্থিতি এর চেয়ে ভয়াবহ আর কখনো ছিল না। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, গভীরতর মানবিক দুর্ভোগ এবং শান্তির আশা ক্ষয়ে যাওয়ার বাস্তবতা আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে বাধ্য করে। তাই এ প্রক্রিয়াকে থেমে যেতে দেওয়া যাবে না। সম্মেলনের পুনরায় শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ়তা, ধারাবাহিকতা ও দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার একটি মৌলিক প্রতিশ্রুতি।’

এদিকে ইসরায়েল এ সিদ্ধান্তকে ‘প্রক্রিয়াগত হয়রানি’ বলে অভিযোগ করার পাশাপাশি একে ‘গভীরভাবে অস্বচ্ছ ও প্রকৃত শান্তি প্রচেষ্টার পরিপন্থী’ হিসেবে বর্ণনা করে।

ইসরায়েলি প্রতিনিধি বলেন, ‘এটি শান্তি স্থাপনের গুরুতর প্রচেষ্টা নয়, এটি একটি প্রদর্শনী, একটি প্রচারণামূলক কৌশল। শান্তি এগিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে এটি যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে পারে, হামাসকে উৎসাহিত করতে পারে এবং প্রকৃত কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপগুলো সন্ত্রাসীদের ভুল সংকেত দেয়। হামাসের মতো গোষ্ঠীগুলো সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোকে প্রশংসা করেছে এবং এগুলোকে তাদের কৌশলের বৈধতা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রও আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ পরিষদের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জানায়, এ সম্মেলন ও সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবের ‘বৈধতা নেই’। মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, ‘প্রস্তাবটি মাত্র একদিন আগেই এজেন্ডায় যুক্ত করা হয়েছে, যা খুবই অস্বচ্ছ এবং বাজেটীয় দিক থেকেও প্রশ্নবিদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ সম্মেলন হলো অসময়ে আয়োজন করা লোকদেখানো একটি উদ্যোগ’, যা প্রকৃত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে পারে।’

মার্কিন প্রতিনিধি একে ‘৭ অক্টোবরের হামলার শিকারদের প্রতি অপমান’ বলে মন্তব্য করে জানান, ওয়াশিংটন এ সম্মেলনে অংশ নেবে না।