গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহরের যাত্রা বুধবার পর্যন্ত স্থগিত

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার উদ্দেশে যাত্রা করতে যাওয়া একটি ত্রাণবাহী নৌবহরের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, রবিবারের পরিবর্তে নৌবহরটি বুধবার যাত্রা শুরু করবে।

‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এই নৌবহরের আয়োজকরা যাত্রা বিলম্বিত হওয়ার পেছনে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার কারণকে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে একজন আয়োজক জানান, স্পেন থেকে নৌবহরের পৌঁছাতে দেরি হওয়া, প্রতিকূল আবহাওয়া ও সমুদ্রের পরিস্থিতি এবং জাহাজগুলোর ব্যবস্থাপনার কারণে যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অংশগ্রহণকারী অন্য পক্ষগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নৌবহরের জাহাজগুলো আগামী ১০ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসের সিদি বু সাইদ বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে।

এই নৌবহরের অংশ হিসেবে গত মাসের শেষের দিকে প্রায় ২০টি জাহাজ বার্সেলোনা থেকে রওনা দেয়। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইতালির জেনোয়া থেকে আরেকটি নৌযানবহর যাত্রা শুরু করে। ইসরায়েলের ভয়াবহ অবরোধ ভেঙে গাজায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে তিউনিশিয়া থেকে তৃতীয় নৌবহরটির রবিবার যাত্রা করার কথা ছিল। এই অভিযানে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’, ‘গ্লোবাল গাজা মুভমেন্ট’, ‘সুমুদ কনভয়’ এবং মালয়েশিয়ার ‘নুসানতারা সলিডারিটি গ্রুপ’ সম্মিলিতভাবে অংশ নিয়েছে।

গত ২২ আগস্ট ‘ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন’ (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে জানায়, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলি অবরোধ অব্যাহত থাকলে এই দুর্ভিক্ষ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করে সংস্থাটি।

শুক্রবার গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যা অভিযান ৭০০তম দিনে প্রবেশ করেছে। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। সামরিক এই আগ্রাসনে পুরো উপত্যকাটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং সেখানকার মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হচ্ছে।

গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া, উপত্যকায় চালানো যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি হয়েছে ইসরায়েল।