ভারতের নতুন উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণন

ভারতের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা সিপি রাধাকৃষ্ণন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি বিরোধী জোটের প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হন। এই জয়ের মধ্য দিয়ে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হলেন তিনি।

এর আগে, গত জুলাই মাসে স্বাস্থ্যগত কারণে পূর্ববর্তী উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় পদত্যাগ করায় পদটি শূন্য হয়। ২০২৭ সাল পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল। তার পদত্যাগের এক মাসের বেশি সময় পর ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা (এনডিএ) জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন ৬৮ বছর বয়সি চন্দ্রপুরম পোন্নুস্বামী (সিপি) রাধাকৃষ্ণন।

ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের গোপন ভোটে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল পিসি মোদি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে জানান, মোট ৭৫২টি বৈধ ভোটের মধ্যে রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, বিরোধী দলীয় জোট ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স’ (ইন্ডিয়া) মনোনীত প্রার্থী ও ভারতের সাবেক বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০ ভোট।

পিসি মোদি আরও জানান, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৭৮৮ জন ভোটারের মধ্যে ৭৬৭ জন সংসদ সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, যার মধ্যে ১৫টি ভোট বাতিল বলে গণ্য হয়। ফলে নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭৭ ভোটের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়েই জয় নিশ্চিত করেন রাধাকৃষ্ণন।

উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি পদটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ। পদাধিকারবলে তিনি সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তবে ভারতে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির পদ দুটি মূলত আনুষ্ঠানিক এবং সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার হাতেই ন্যস্ত থাকে।