গ্রিসে ইসরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা চালানোর অভিযোগে গ্রিসে এক ইসরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হিন্দ রজব ফাউন্ডেশন (এইচআরএফ) নামের একটি সংস্থা শুক্রবার এথেন্সের একটি আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করে।

এইচআরএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গিভাতি ব্রিগেডের ৪৩২তম ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন ‘জাবার’-এর সদস্য নাওর শ্লোমো দাদনের বিরুদ্ধে এথেন্সের পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে অভিযোগটি জমা দেওয়া হয়েছে। গ্রিক আইনজীবী এভজেনিয়া কোনিয়াকির মাধ্যমে দায়ের করা এই অভিযোগটি একটি ৭০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত গাজায় দাদনের কার্যক্রম নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এইচআরএফ জানায়, তাদের কাছে থাকা প্রমাণে দেখা গেছে, দাদো রাফাহ ও জাবালিয়ার বেসামরিক এলাকা ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর মধ্যে হামাদ বিন খলিফা স্কুল পুড়িয়ে দেওয়ার ছবি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞকে মহিমান্বিত করে দেওয়া পোস্টও রয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, দাদো বর্তমানে গ্রিসের ম্যাগনেসিয়ার জাগোরাতে ‘রাইজিং হিরোস’ নামের একটি ইসরায়েলি গোষ্ঠীর আয়োজিত ‘মানসিক দৃঢ়তা’ বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এইচআরএফ এই কর্মসূচির সমালোচনা করে বলেছে, এটি ‘সুস্থতার আড়ালে দায়মুক্তি’ দেওয়ার একটি অপচেষ্টা, যা সন্দেহভাজনদের জবাবদিহির হাত থেকে রক্ষা করছে।

এইচআরএফের চেয়ারম্যান দিয়াব আবু জাহজাহ বলেন, ‘বেসামরিক জনগণের ধ্বংযজ্ঞে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য ইউরোপে কোনো নিরাপদ আশ্রয় থাকতে পারে না।’ গ্রিসের দণ্ডবিধি, জেনেভা কনভেনশন এবং রোম সংবিধির সর্বজনীন এখতিয়ারের বিধানের অধীনে দাদনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য গ্রিক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

দাদনের বিরুদ্ধে স্কুল ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা, সম্পত্তির ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং গণহত্যার শামিল জীবনযাত্রার পরিস্থিতি তৈরি করার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে এইচআরএফ একই ব্যাটালিয়নের আরেক সেনা ইয়ার ওহানার বিরুদ্ধে গ্রিসে একই ধরনের অভিযোগ দায়ের করেছিল। মামলাটি বর্তমানে করফু আদালতের প্রাথমিক তদন্ত বিভাগে স্থানান্তরিত হয়েছে।