অচলবস্থার মধ্যেও সেনাদের বেতন দিতে ট্রাম্পের নির্দেশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি অচলবস্থার মধ্যেও সেনা সদস্যদের বেতন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সম্ভাব্য সব তহবিল ব্যবহার করে আগামী বুধবারের (১৫ অক্টোবর) মধ্যে এই বেতন পরিশোধ করতে বলেছেন।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘আমাদের সাহসী সেনারা ১৫ অক্টোবর তাদের পাওনা বেতন থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে- এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ সরকারি অচলবস্থার ১১তম দিনে তিনি এ নির্দেশ দিলেন। দেশটিতে গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই অচলাবস্থা তৃতীয় সপ্তাহে গড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ কংগ্রেসের ওপর চাপ কমিয়ে দেওয়ায় অচলাবস্থা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, হাজার হাজার যুক্তরাষ্ট্রীয় কর্মীর বেতন নিশ্চিত করার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বহু কর্মী ছাঁটাইয়ের মুখে পড়েছেন এবং শুক্রবার থেকে হাজার হাজার কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সর্বাধিনায়ক হিসেবে আমার সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করছি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দিয়েছি সম্ভাব্য সব খাতের অর্থ ব্যবহার করে ১৫ অক্টোবর আমাদের সৈন্যদের বেতন দিতে। আমরা এরইমধ্যে এর জন্য তহবিল চিহ্নিত করেছি এবং হেগসেথ সেগুলো ব্যবহার করবেন।’

মার্কিন সেনাবাহিনীতে বর্তমানে প্রায় ১৩ লক্ষ সক্রিয় সৈন্য রয়েছে। চলমান অচলবস্থার কারণে তারা বেতন না পাওয়ার ঝুঁকিতে ছিলেন, যা ক্যাপিটল হিলে আইনপ্রণেতাদের আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছিল।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তহবিলের উৎস স্পষ্টভাবে না জানালেও ধারণা করা হচ্ছে, অচলাবস্থা ১৫ অক্টোবরের পরও চলমান থাকলে গত অর্থবছরের অব্যবহৃত গবেষণা, উন্নয়ন, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন খাত থেকে প্রায় ৮০০ কোটি ডলার ব্যবহার করা হতে পারে। কংগ্রেশনাল বাজেট কার্যালয়ের মতে, ২০২৫ সালের পুনর্মিলন আইনের অধীনে বাধ্যতামূলক তহবিল ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা, কোষাগার, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনা ও বাজেট কার্যালয়ের মতো বিভাগগুলোর কার্যক্রম চালানো সম্ভব।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের অন্যান্য বিভাগে কর্মরত বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। অচলাবস্থা শেষ হলে কর্মীরা তাদের পেছনের সব বেতন পাবেন, যা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে স্বাক্ষরিত একটি আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসে উভয় পক্ষের কঠোর অবস্থানের কারণে এই অচলাবস্থা কবে শেষ হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।