বন্দী মুক্তির পর ‘সুড়ঙ্গ’ ধ্বংসের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের ব্যবহৃত গোপন সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি এটিকে জিম্মি প্রত্যাবর্তনের পর ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রোববার (১২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

কাটজ আরও দাবি করেন, এই ধ্বংসপ্রক্রিয়াটি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) পরিচালনা করবে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে একটি আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তিনি মনে করেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গাজাকে অস্ত্রমুক্তকরণ এবং হামাসের অস্ত্রহীনকরণের ‘প্রধান অর্থ’ হবে এই সুড়ঙ্গ ধ্বংস। তিনি এটিকে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।

এর আগে, গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, ইসরায়েল ও হামাস তার ২৯ সেপ্টেম্বরে প্রস্তাবিত ২০-দফা পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সম্মত হয়েছে। এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, ইসরায়েলি জিম্মি ও প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি এবং পর্যায়ক্রমে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপটি শুক্রবার দুপুর থেকে কার্যকর হয়। এর আওতায় ইসরায়েলি বাহিনী ‘হলুদ রেখা’ পর্যন্ত পিছু হটে এবং বন্দি বিনিময়ের জন্য ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা শুরু হয়। চুক্তির পরবর্তী ধাপগুলোতে গাজায় হামাসবিহীন নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠন, আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সমন্বয়ে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন এবং হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৬০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের একটি বড় অংশই নারী ও শিশু। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বারবার সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।