শান্তি সম্মেলনের আগে গাজায় এক ফিলিস্তিনি নিহত

দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে একজন ফিলিস্তিনি পুরুষ নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রবিবার খান ইউনিস এলাকায় এই ঘটনা ঘটে, যা মিশরে একটি গুরুত্বপূর্ণ শান্তি সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা আগে সংঘটিত হলো।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, খান ইউনিসের মায়েন এলাকায় ইসরায়েলি সেনারা ওই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। তবে এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য সংস্থাটি জানায়নি।

এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন মিশরের শার্ম এল-শেখ শহরে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি।

সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসসহ ২০ জনেরও বেশি বিশ্বনেতার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

মিশর জানিয়েছে, এই সম্মেলনের লক্ষ্য ‘গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার প্রচেষ্টা জোরদার করা এবং এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার একটি নতুন পর্ব শুরু করা’।

এর আগে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তার ২০-দফা পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে সমস্ত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া এবং গাজা উপত্যকা থেকে পর্যায়ক্রমে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার। পরিকল্পনার প্রথম ধাপ শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে হামাসকে বাদ দিয়ে গাজায় একটি নতুন শাসন কর্তৃপক্ষ গঠন, একটি বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণের কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় ৬৭,৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এই ভয়াবহ হামলায় উপত্যকাটি অনেকাংশে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।