স্টারমারকে এরদোয়ান: দুই-রাষ্ট্র সমাধানই গাজায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে দুই-রাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র পথ। সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিশরের শারম আল শেখে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি পরিকল্পনা বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। এই সম্মেলনে তিনি ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে তুরস্কের জোরালো অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।

তুরস্কের যোগাযোগ পরিচালনা অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরদোয়ান বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ ও যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় আঙ্কারা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী রূপ দিতে এবং শান্তির পথ সুগম করতে তুরস্ক ভবিষ্যতে প্রচেষ্টা আরও বাড়াবে।’

তিনি এসময় গাজায় নিরবচ্ছিন্নভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং অবিলম্বে অঞ্চলটির পুনর্গঠন শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়।

এরদোয়ান একইদিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রী শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তুরস্ক ও আমিরাতের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এনেছে উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, দুই দেশ প্রতিরক্ষা খাতসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করছে।

গাজা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এরদোয়ান বলেন, ‘তুরস্ক চলমান গণহত্যা বন্ধে কাজ করছে এবং আমরা বিশ্বাস করি একটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে, যেটিকে যত্নের সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে।’ তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, গাজায় অবাধ মানবিক সাহায্য পৌঁছানো এবং পুনর্গঠন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এদিকে সম্মেলনের পাশাপাশি এরদোয়ান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গেও পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে হওয়া চুক্তির আওতায় হামাস গাজায় থাকা ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিলে সোমবার ইসরায়েলি কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়।