অস্ট্রেলিয়ায় পুলিশি হেফাজতে রেকর্ডসংখ্যক আদিবাসীর মৃত্যু, সমালোচনার ঝড়

অস্ট্রেলিয়ায় চলতি বছর হেফাজতে থাকা অবস্থায় রেকর্ডসংখ্যক আদিবাসী ও টরেস স্ট্রেইট দ্বীপপুঞ্জের মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে। দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) রাজ্যে এ বছর এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ।

বুধবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। এনএসডব্লিউ রাজ্যের প্রধান শব পরীক্ষক (স্টেট করোনার) টেরেসা ও'সুলিভান এক বিরল প্রকাশ্য বিবৃতিতে এই পরিস্থিতিকে ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক একটি মাইলফলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি রাজ্যের কারাগার ব্যবস্থায় আদিবাসী অস্ট্রেলীয়দের অতিরিক্ত উপস্থিতির বিষয়টিকে বিশেষভাবে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘তারা এমন ব্যক্তি, যাদের মৃত্যু স্বাধীন ও সতর্ক তদন্ত, সম্মান এবং জবাবদিহির দাবি রাখে।’ ও'সুলিভান আরও জানান, গত পাঁচ বছরে হেফাজতে থাকা অবস্থায় আদিবাসীদের মৃত্যুর হার ১৮.৯ শতাংশ বেড়েছে।

আদিবাসী পরিচালিত সংস্থা ‘অ্যাবোরিজিনাল লিগ্যাল সার্ভিস (এনএসডব্লিউ/এসিটি) লিমিটেড’ এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে একটি ‘ভয়াবহ রেকর্ড’ বলে অভিহিত করেছে। সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কার্লি ওয়ার্নার বলেন, ‘এটি একটি সংকট এবং একটি প্রতিরোধযোগ্য ট্র্যাজেডি, যা নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রত্যেকের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হওয়া উচিত। কারাদণ্ড যেন মৃত্যুদণ্ডে পরিণত না হয়।’

এর আগে গত মে মাসে নর্দার্ন টেরিটরির অ্যালিস স্প্রিংসে একটি দোকানের নিরাপত্তা প্রহরীর সঙ্গে বিবাদের জেরে সাদাপোশাকের দুই পুলিশ কর্মকর্তার হাতে আটক হওয়ার পর ২৪ বছর বয়সী এক আদিবাসী যুবক মারা যান।

এবিসি নিউজের তথ্যমতে, ১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় হেফাজতে থাকা অবস্থায় মোট ৫৯৪ জন আদিবাসীর মৃত্যু হয়েছে।