পুরোনো ফোনের গতি বাড়ানোর ৫টি সহজ উপায়

ব্যবহারের কিছুদিন পরই কি আপনার প্রিয় স্মার্টফোনটির গতি কমে গেছে? অ্যাপ খুলতে দেরি হওয়া, ভিডিও চলার সময় আটকে যাওয়া বা গেম খেলার সময় হ্যাং হওয়ার মতো সমস্যায় অনেকেই পড়েন। তবে চিন্তার কারণ নেই, কয়েকটি সাধারণ কৌশল অবলম্বন করলেই ফোনের পারফরম্যান্স আগের মতো ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

ফোনের গতি কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যাওয়া। যখন ইন্টারনাল স্টোরেজের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভরে যায়, তখন ফোন স্বাভাবিকভাবেই ধীর হয়ে পড়ে। এর সমাধানে বড় ফাইল, যেমন- দীর্ঘ ভিডিও বা অন্যান্য ডেটা গুগল ড্রাইভ বা অন্য কোনো ক্লাউড সেবায় সরিয়ে রাখা যেতে পারে। পাশাপাশি, ফোনের গ্যালারি থেকে অপ্রয়োজনীয় ছবি ও ভিডিও এবং ডাউনলোড ফোল্ডার থেকে পুরনো ফাইল মুছে ফেলেও স্টোরেজ খালি করা যায়।

স্মার্টফোনে বিভিন্ন অ্যাপ, বিশেষ করে ব্রাউজার ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে প্রচুর ক্যাশে ফাইল জমা হয়। এই অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ফোনের গতি কমিয়ে দেয়। তাই নিয়মিত ফোনের সেটিংস থেকে ক্যাশে পরিষ্কার করা জরুরি। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুকের মতো অ্যাপে মিডিয়া অটো-ডাউনলোড অপশনটি বন্ধ রাখলে স্টোরেজ সাশ্রয় হয় এবং ফোনের ওপর চাপ কমে।

অনেক ব্যবহারকারী ফোনে এমন সব অ্যাপ ইনস্টল করে রাখেন, যা খুব কম ব্যবহার হয় বা একেবারেই হয় না। এই অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে র‍্যাম ও ডেটা ব্যবহার করে ফোনের গতি কমিয়ে দেয়। তাই ফোনে থাকা অপ্রয়োজনীয় গেম, ভিপিএন বা বিভিন্ন ধরনের ডুপ্লিকেট অ্যাপ আনইনস্টল করে ফেলা উচিত। এতে ফোনের কার্যক্ষমতা বাড়বে।

কিছু অ্যাপ বন্ধ করার পরও ব্যাকগ্রাউন্ডে সচল থাকে, যা ফোনের র‍্যামের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে ফোন ধীরগতির হয়ে যায়। ফোনের ডেভেলপার অপশন বা সেটিংস থেকে এসব ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপের কার্যক্রম সীমিত বা বন্ধ করে দিলে র‍্যাম খালি থাকে এবং ফোনের গতি বাড়ে।

মোবাইল কোম্পানিগুলো নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট পাঠায়, যার মাধ্যমে ফোনের বিভিন্ন সমস্যা (বাগ) সমাধান করা হয় এবং পারফরম্যান্স উন্নত করা হয়। এসব আপডেটে প্রায়ই স্পিড অপটিমাইজেশন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার সুযোগ থাকে। তাই ফোনের সফটওয়্যার সবসময় আপ-টু-ডেট রাখলে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।