একই দিনে নয়, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট চায় জামায়াত ও মিত্ররা

জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে নয়, বরং নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের মিত্র ইসলামী দলগুলো। শুক্রবার খুলনা ও কুষ্টিয়ায় আয়োজিত পৃথক কর্মসূচি থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ‘চালাকি’ এবং বিএনপির সঙ্গে ‘ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগ তুলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

খুলনার দৌলতপুর শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত এক জনসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সরকার জনগণকে সংকটে ফেলেছে। তিনি এই ঘোষণা সংশোধন করে নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানান। তার মতে, জনগণের মতামতের ওপরই সরকারের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রধান উপদেষ্টার পদ বা ২০২৬ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিধান নেই। তার মতে, সুপ্রিম কোর্টের একটি রেফারেন্সের ভিত্তিতে এই সরকার গঠিত হলেও তা ক্ষমতা গ্রহণের ভিত্তি হতে পারে না। তিনি উল্লেখ করেন, ‘জুলাই সনদই একমাত্র সংবিধানের অংশ হতে পারে এবং এর মাধ্যমেই সবকিছুর আইনি ভিত্তি দেওয়া সম্ভব।’

এদিকে, একই দিনে কুষ্টিয়ায় জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামী দলের একটি জোট জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, নির্বাচনের দিন গণভোট কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছলচাতুরির অভিযোগ আনেন।

সমাবেশে বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির সঙ্গে গোপনে চক্রান্ত করছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যেভাবে আমরা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছি, দাবি মানা না হলে আপনাদেরও বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দেবো।’

কুষ্টিয়া-৪ আসনে জামায়াতের প্রার্থী আফজাল হোসাইন বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় আনা হয়েছে এবং প্রয়োজন হলে একই প্রক্রিয়ায় তাদের ক্ষমতা থেকে নামানো হবে।