পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্রভাণ্ডার কি ফুরিয়ে আসছে?

রাশিয়াকে কামানের গোলা সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (জিইউআর) দাবি, নিজেদের মজুত ফুরিয়ে আসায় পিয়ংইয়ং এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটির উপপ্রধান মেজর জেনারেল ভাদিম স্কিবিৎসকি সম্প্রতি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান।

স্কিবিৎসকির মতে, ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে প্রায় ৬৫ লাখ কামানের গোলা সরবরাহ করেছে। তবে মজুদের ঘাটতির কারণে চলতি বছর সরবরাহের পরিমাণ কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তিনি জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে পিয়ংইয়ং থেকে রাশিয়ার উদ্দেশে একটিও গোলা পাঠানো হয়নি, যদিও অক্টোবরে পুনরায় কিছু চালান পাঠানো শুরু হয়।

ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আরও দাবি করেন, কিম প্রশাসনের সরবরাহ করা গোলার অর্ধেকই ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। সেগুলো এতটাই পুরোনো যে, রাশিয়াকে পরে নিজেদের কারখানায় মেরামত করে ব্যবহারযোগ্য করতে হয়েছে।

স্কিবিৎসকি জানান, গোলার মজুত কমে আসায় উত্তর কোরিয়া এখন সামরিক এফপিভি ড্রোন ও মাঝারি পাল্লার চালকবিহীন আকাশযান (ইউএভি) উৎপাদনে জোর দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘তারা শিখছে, যুদ্ধ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজেদের ভূখণ্ডে উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে।’

এর আগে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র গোয়েন্দা সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়া একসময় রাশিয়ার গোলার চাহিদার প্রায় ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করত।