ইস্তাম্বুলের মঞ্চে গাজা নিয়ে ফিলিস্তিনি শিল্পীর আবেগঘন বার্তা

ইস্তাম্বুলে এক কনসার্টে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন ফিলিস্তিনি শিল্পী সেন্ট লেভান্ট। মারওয়ান আবদেলহামিদ নামে পরিচিত এই শিল্পী গানের ফাঁকে গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানান। তিনি স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেন যে, ফিলিস্তিনিরা ঘৃণা নিয়ে জন্মায়নি, বরং তারা দীর্ঘদিনের সামরিক দখলদারিত্বের শিকার।

গত শুক্রবার ইস্তাম্বুলে আয়োজিত এই কনসার্টে তিনি দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, গাজায় ভাই-বোনেরা যখন গত তিন বছর ধরে নৃশংস গণহত্যার শিকার হচ্ছে, তখন মঞ্চে উঠে সংস্কৃতি উদযাপন করা, গান গাওয়া বা নাচ করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি গাজা পরিস্থিতিকে ‘যুদ্ধ’ বা দুই পক্ষের ‘সংঘাত’ হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান।

সেন্ট লেভান্ট বলেন, ‘এটি ৭ অক্টোবর শুরু হয়নি। এটি ৭৫ বছর বা তারও বেশি সময়ের সামরিক দখলদারিত্ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি বিশ্ব অবশেষে বুঝতে পেরেছে যে ফিলিস্তিনিরা ঘৃণা নিয়ে জন্মায়নি। বিশ্ব এখন বুঝতে পারছে যে আমরা এমন একটি জনগোষ্ঠী যারা দখলদারিত্বের অধীনে বসবাস করছি।’

ফিলিস্তিনিদের দাবির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু ন্যায়বিচার চাই না, আমরা স্বাধীনতা চাই। এবং আমরা প্রতিদিন এই দাবি জানাই।’

ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ যুগের সঙ্গে তুলনা করে সেন্ট লেভান্ট বলেন, সেই উদাহরণ প্রমাণ করে যে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব। আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার সূর্য শিগগির উদিত হবে। এবং আমাদের শিশুরা ইস্তাম্বুল থেকে বিমানে করে জেরুজালেমে যেতে পারবে।’

কনসার্টে উপস্থিত দর্শকরা এ সময় ফিলিস্তিনি কেফিয়াহ পরে এবং পতাকা দুলিয়ে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত হোক’ বলে স্লোগান দেন।