জেলেনস্কির নিষেধাজ্ঞার হুমকির কড়া জবাব দিলো চীন

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চীনা নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে হুমকি দিয়েছেন, বেইজিং তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী এবং জাতিসংঘের অনুমোদনহীন যেকোনো একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধী।

মঙ্গলবার বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘চীন সবসময় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনহীন সব ধরনের একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে।’

ইউক্রেনকে সতর্ক করে লিন জিয়ান আরও বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনীয় পক্ষকে অবিলম্বে তাদের ভুল শুধরে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। চীন তার কোম্পানি এবং নাগরিকদের বৈধ ও আইনগত অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষা করবে।’

এর আগে সোমবার জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন চলতি বছরের শেষ নাগাদ রুশ সত্তা এবং যারা রুশ আগ্রাসনকে সমর্থন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত প্রস্তুত করছে।

মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের সঙ্গে যারা কাজ করছে, তাদের লক্ষ্য করে অন্তত একটি নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ আসবে। এর মধ্যে শুধু রাশিয়ার ব্যক্তিরাই নন, বিশেষ করে চীন থেকে আসারাও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।’

তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন দাবি করেন, সংকটের প্রথম দিন থেকেই বেইজিং রাশিয়া, ইউক্রেন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।

শান্তি প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চীন সংঘাতের অবসান এবং শান্তির জন্য আলোচনার প্রসারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীন শান্তির জন্য সহায়ক সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অসংখ্য মানুষ নিহত, আহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইউক্রেনীয় সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে ব্রাজিলের সঙ্গে মিলে চীন ‘গ্রুপ অফ ফ্রেন্ডস অফ পিস’ বা শান্তির বন্ধু গোষ্ঠী চালু করেছে।