সংবর্ধনা নিয়েই সরাসরি মাকে দেখতে এভারকেয়ারে যাবেন তারেক রহমান

দীর্ঘ ১৭ বছরেরও বেশি সময় প্রবাসে কাটিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরার পর তিনি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তার অসুস্থ মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অভ্যর্থনা কমিটির’ আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, তারেক রহমান বহনকারী বিমানটি আগামীকাল সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে তিনি ৩০০ ফিট রাস্তা হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। পথে ৩০০ ফিটের সার্ভিস লেনে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারেক রহমান এমন কোনো কর্মসূচি চান না যা জনগণের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি করে। এ কারণে ৩০০ ফিটের অনুষ্ঠানে তিনি ছাড়া অন্য কোনো নেতা বক্তব্য দেবেন না। নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে থাকার এবং কাঞ্চন ব্রিজ ব্যবহার করে যাতায়াতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের পরবর্তী দুদিনের ব্যস্ত সূচিও জানানো হয়েছে- শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর): জুমার নামাজের পর তিনি শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর): এদিন সকালে তিনি ভোটার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। এরপর তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির কবরে শ্রদ্ধা জানাবেন এবং পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যাবেন।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করবে। আমরা আশা করছি, কয়েক লাখ মানুষ তার এই আগমণকে উৎসবের মতো বরণ করে নেবে।