মৌসুমি ফল লিচু

লিচুর মৌসুম আসি আসি করছে। যদিও বাজারের ফলের দোকানে লিচুর বাহার দেখে মনে হবে লিচুর সিজন সম্ভবত বুঝি চলেই যাচ্ছে। যে কয়েকটি ফলের মৌসুম খুবই অল্পকাল থাকে, লিচু তাদের মধ্যে একটি। লিচুর সিজন থাকে খুব বেশি হলে দুই থেকে তিন সপ্তাহ। এই সময়ের মধ্যেই আপনাকে লিচু খেয়ে নিতে হবে।

ফল হিসেবে লিচু অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ কিলোক্যালোরি, ১৬.৫৩ গ্রাম শর্করা, ০.৮৩ গ্রাম প্রোটিন এবং ১.৩ গ্রাম আঁশ রয়েছে।

যাদের বয়স দ্রুত বাড়ছে, তাঁরা বার্ধক্যকে রুখে দেয়ার জন্য লিচু খেতে পারেন। কারণ লিচু তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লিচুর সাহায্য নিতে পারেন। এছাড়া লিচু মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ক্যানসার প্রতিরোধ করবেন ভাবছেন? তাহলে বেশি বেশি লিচু খান। লিচু শরীরের ক্যানসার কোষ বিভাজনকে বাধা দেয়।

যাদের ক্ষুধা নিয়ে সমস্যা আছে, তাঁরা বেশি বেশি লিচু খেতে পারেন। কারণ লিচু হজম শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্ষুধাবর্ধক হিসেবে কাজ করে।

হাড়ের সমস্যা থাকলে দেরি না করে লিচু খাওয়া শুরু করুন। কারণ লিচু হাড়ের প্রাথমিক সমস্যা দূর করার ক্ষমতা রাখে।

যাদের মুখে প্রচুর ব্রণ আছে, তাঁরা লিচুর সিজনটাকে একটা সুসময় হিসেবে ধরে নিতে পারেন। লিচু ত্বকে ব্রণ হতে বাধা দেয়। একই সাথে ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ভূমিকা রাখা লিচু।

এছাড়া লিচুতে আছে ভিটামিন-সি। যা মানব শরীরে রোগপ্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

গরমে শিশুর রোগ-বালাই

জন্মনিয়ন্ত্রক পিলে দেহের হরমোন নষ্ট!

হঠাৎ যখন দাঁতের ব্যথা