পাঁচ দিনের টেস্ট কি বাদ হয়ে যাচ্ছে?

পাঁচদিনের টেস্ট কি আর চলছে না? শত চেষ্টায়ও কি টেস্ট আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফরম্যাটকে অক্ষত রাখতে পারছে না ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল? পরিস্থিতি দেখে তো মনে হচ্ছে, পাঁচদিনের টেস্ট আর থাকছে না; কমে হয়ে যাচ্ছে চারদিনের।

দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ে পরিকল্পনা করেছিলো যে, এবার চারদিনের বক্সিং ডে টেস্ট খেলবে তারা। আইসিসিও এর মধ্যে অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। আইসিসি বলেছে যে, এটি হবে পরীক্ষামূলক টেস্ট। একই সাথে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা বলেছে, ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত যে কোনো বোর্ড অন্য বোর্ডের সঙ্গে পারস্পরিক চুক্তির ভিত্তিতে চার দিনের পরীক্ষামূলক টেস্ট খেলতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভ রিচার্ডসন বলেন, ‘আমরা এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে চাই, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হিসেবে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হবে এবং অর্থপূর্ণ হবে। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট। তবে সামনে যে টেস্ট লিগ হবে, তার প্রতিটি টেস্টই হবে পাঁচদিনের।’

অকল্যান্ডে চলছে আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ সভা। সেখানেই পরীক্ষামূলকভাবে চার দিনের টেস্ট আয়োজনের অনুমোদন দেয়া হয়। আইসিসির মতে, যা আসলে টেস্ট ক্রিকেটকে আরো টেকসই করার সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ। যেভাবে দিবারাত্রির টেস্টের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।

আইসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা যা বলছেন, তাতে মনে হয়ে পাঁচদিনের টেস্টের পাশাপাশি টেস্ট হতে পারে চারদিনেরও। এতে নতুন টেস্ট খেলতে শুরু করা দলগুলোর জন্য সুযোগ বাড়বে বলে মনে করে আইসিসি।

এ বছরের শুরুতে টেস্ট স্টাটাস পাওয়া আয়ারল্যান্ড এরই মধ্যে জানিয়েছে যে, চারদিনের টেস্ট খেলতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। এ বিষয়ে আইরিশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ারেন ডিওট্রম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা টেস্ট স্টাটাস পেলেও এখনো কোনো টেস্ট খেলিনি। সুতরাং ভবিষ্যতের টেস্ট কেমন হবে, তা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। তবে চার দিনের টেস্ট আমাদের সুবিধাই হবে। কারণ আমরা ইন্টারকন্টিন্যান্টাল কাপে চার দিনের দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলেছি। আমাদের চার দিনের টেস্টে কোনো আপত্তি নেই।’

আইসিসি চার দিনের টেস্ট নিয়ে যে আশাবাদী, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছন, এমন অনেক বর্তমান ক্রিকেটার চার দিনের টেস্টের প্রতি সেভাবে সমর্থন করেননি। অনেকে বরং চার দিনের টেস্টের উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।