বিস্ময়কর দল নিয়ে সিক্স-এ-সাইড ক্রিকেটে বাংলাদেশ

হংকংয়ের সিক্স-এ-সাইড ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সাধারণত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা খেলেন। কখনো সাবেক ক্রিকেটারদেরও দেখা গেছে এই টুর্নামেন্টে। কিন্তু বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্ট খেলতে গেলো একদম তরুণদের নিয়ে, যাদের সবাই খেলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে!

আসলে কদিন বাদেই অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ। তার আগে হংকং থেকে একটি দল পাঠানোর অনুরোধ করা হয় বিসিবিকে। বিসিবি সিদ্ধান্ত নেয় তরুণদের পাঠাতে। যাতে এশিয়া কাপের এই টুর্নামেনন্টি যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের দারুণ উপলক্ষ্য হয়।

সিক্স-এ-সাইড টুর্নামেন্টটি প্রথম শুরু হয় ১৯৯২ সালে। এরপর থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত নিয়মতিই হতো এটি। কিন্তু ১৯৯৮, ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে টুর্নামেন্টটি হয়নি। এরপর আবার ২০০১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিয়মিত মাঠে গড়িয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্ট। তবে ২০১৩ সালের পর আবার বন্ধ ছিলো এটি। এবারের আসর দিয়ে দীর্ঘ বিরতি শেষে আবার হচ্ছে দুদিনের এই টুর্নামেন্ট।

২৮ অক্টোবর টুর্নামেন্টের প্রথম দিন। এ দিন তিনটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। হংকংয়ের স্থানীয় সময় সকাল পৌনে নয়টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবেন সাইফ হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় ক্রিকেটার। পৌনে ১২টায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। পৌনে তিনটায় বাংলাদেশ খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

এই বিশেষ ক্রিকেটে ওয়াইড বা নো বলে দুই রান করে পায় ব্যাটিং করা দল। আর প্রতিটি দলে যে ছয়জন করে ক্রিকেটার খেলেন, এটা নিশ্চয় আপনি বুঝে গেছেন আগেই!

এই টুর্নামেন্টে ৩১ রান করে ফেললে একজন ব্যাটসম্যানকে অবসর নিতে হয়। পুরো ওভার শেষ হওয়ার আগে যদি তার দল পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে, তবে রানার হিসেবে আউট হওয়া ব্যাটসম্যান আবার নামতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ষষ্ট ব্যাটসম্যানকে একাই খেলতে হয়। মানে তার বিপরীত পাশে আর ব্যাটসম্যান না থাকলেও হয়।

সিক্স-এ-সাইড এই টুর্নামেন্টে এবার প্রথমবারের মতো এমসিসির একটি দলও অংশগ্রহণ করছে। এবারই প্রথমবার কোনো ক্লাব খেলছে এই টুর্নামেন্টে। টেস্টখেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে জিম্বাবুয়ে, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড এই টুর্নামেন্টে নেই। স্বাগতিক হিসেবে হংকংয়ের একটি দলও খেলবে এটিতে।

সিক্স-এ-সাইডে বাংলাদেশ দল
সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মনিরুল ইসলাম, রবিউল হক এবং কাজী অনিক ইসলাম।