সাংবাদিক উৎপল দাসের সন্ধান নিয়ে 'ধুম্রজাল'

প্রায় বিশ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা বাংলাদেশি একটি অনলাইন পোর্টালের সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক উৎপল দাসকে পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং তার কর্মস্থল পূর্বপশ্চিমবিডি ডট নিউজ মতিঝিল থানা-পুলিশের বরাত দিয়ে বলছে, বর্তমানে উৎপল টাঙ্গাইলের মির্জাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে অনেক সিনিয়র সাংবাদিক বলছেন পুলিশ এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।

গত ১০ অক্টোবর থেকে উৎপল দাস নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। উৎপল দাস অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।

সিনিয়র সাংবাদিক পুলক ঘটক ফেসবুক স্টাটাসে লিখেছেন, 'সাংবাদিক উৎপল দাস উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে দুই ধরণের তথ্য পাচ্ছি। টাঙাইলের মির্জপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর রিপন আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে উৎপলকে উদ্ধার করা গেছে। কিন্তু ওই থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমাকে জানিয়েছেন, উদ্ধারের খবর সত্য নয়। তাকে উদ্ধার করা যায়নি। যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কথা বলা হচ্ছে সেখানে আমরা খোঁজ নিয়েছি। সেখানেও উৎপল নেই। সঠিক তথ্য জানার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।'

এদিকে আরেক সিনিয়র সাংবাদিক সমকালের রাজিব নুর বলেছেন, 'উৎপলকে এখনও পাওয়া যায়নি। গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না।'

পূর্বপশ্চিমের বার্তা সম্পাদক শাহনেওয়াজ সুমন জানান, ১০ অক্টোবর দুপুর ১টার দিকে পূর্বপশ্চিমের মতিঝিল অফিস থেকে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। অফিস থেকে বের হওয়ার পর তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করে বন্ধ পাওয়া গেছে। উৎপল দাসের সন্ধান চেয়ে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। জিডি নং-১৬২৫, তাং-২২/১০/১৭ইং।

১০ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪৪ মিনিটের দিকে উৎপল দাস তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সর্বশেষ স্টাটাসে লিখেন, ‘বলছিলাম নতুন ইস্যুর কথা: গেপ্তার’। এরপর থেকে তাকে ফেইসবুকে আর অনলাইনে দেখা যায়নি।

উৎপল দাস নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পূর্বপশ্চিমের সম্পাদক খুজিস্তা নূর-ই-নাহারিন (মুন্নি) বলেন, ‘তার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল নম্বরই বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পরিবার, সহকর্মী ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে খোঁজ নিয়েও তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।

উৎপল দাস (২৯) নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার থানাহাটি এলাকার চিত্ত দাসের পুত্র। নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায় থেকে অনার্স করেছেন। তিনি রাজধানীর ফকিরাপুল এক নম্বর গলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পূর্বপশ্চিমের আগে তিনি বন্ধ হয়ে যাওয়া অনলাইন পোর্টাল বাংলামেইলে কাজ করেছিলেন।