‘শীঘ্রই’ আগুনের গোলা হয়ে উঠবে পৃথিবী!

৬০০ বছরের মধ্যেই এই পৃথিবী ফায়ার বল বা আগুনের গোলা হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ স্টিফেন হকিং। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং শক্তির ব্যয়ের জন্যই এমনটা ঘটবে বলে মনে করছেন তিনি। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীর এই বক্তব্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সংবাদ মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়।

চীনের টেনসেন্ট উই সামিটের একটি ভিডিওতে বিশ্ববিখ্যাত এই বিজ্ঞানী বলেন, 'মানব জাতির অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে। তাদের টিকে থাকতে হলে এমন জায়গায় যেতে হবে যেখানে এর আগে কেউ যায়নি।'

এদিকে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, আলফা সেঞ্চুরি হচ্ছে সৌরজগতের নিকটতম এক গ্রহ। যেটি মানবজাতির কাছে হয়ে উঠতে পারে ঠিক পৃথিবীর মতই বাসযোগ্য। ন্যানোক্র্যাফট নামে একটি স্পেসক্র্যাফটের কথা বলছে স্টিফেন হকিং। এই স্পেসক্র্যাফটি এক ঘন্টারও কম সময়ে পৌঁছে দেবে মঙ্গলগ্রহে। ক্র্যাফটি ২৪ ঘন্টা সময় নেবে প্লুটোতে পৌঁছাতে। আলফা সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে ২০ বছর।

এর আগে স্টিফেন হকিং দাবি করেছিলেন, 'প্রযুক্তিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ না করা হলে মানবসভ্যতা ধ্বংস হতে পরে পারে। মহাবিশ্বের অন্য কোথাও যদি মানুষ যেতে না পারে তবে মানবসভ্যতার আর কোনো ভবিষ্যত নেই। মানবসভ্যতার ভবিষ্যতের জন্য প্রযুক্তিতে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা না হলে প্রযুক্তিই মানুষকে ধ্বংস করতে পারে। এই বিপদ থেকে উদ্ধারের একমাত্র আশা বৈশ্বিকভাবে তা নিয়ন্ত্রণ। নিউক্লিয়ার এবং বায়োলোজিক্যাল যুদ্ধের যে হুমকি রয়েছে তা থেকে বাঁচতে যুক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।'

অন্যদিকে সারা বিশ্বে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে বোরিস্কা নামের এক রাশিয়ান তরুণের বক্তব্য। বোরিস্কা দাবি করছে, পৃথিবীতে জন্ম নেওয়ার আগে সে মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দা ছিল। অতীতে পরমাণু অস্ত্রের লড়াইয়ে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে মঙ্গল। সে জানিয়েছে, মঙ্গলের বাসিন্দাদের উচ্চতা ৭ ফুটের মত। তারা বাস করত মাটির নীচে। শুধু তাই নয়, কার্বন ডাই অক্সাইডেই চলে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস।

বোরিস্কার দাবি, মঙ্গলের বাসিন্দাদের ৩৫ বছরের পর আর বয়স বাড়ে না। প্রযুক্তির দিক থেকেও তারা খুবই উন্নত। স্কুলপড়ুয়া বোরিস্কা জানিয়েছে, 'মঙ্গলবাসীদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল প্রাচীন মিশরের সাথে। তখন পাইলট হিসেবে সে একবার পৃথিবীতে এসেছিল।'