ঐতিহাসিক সফরে আফ্রিকায় এরদোয়ান

আফ্রিকায় এক ঐতিহাসিক সফরে গিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান। সফরসঙ্গী হিসেবে ৯ তুর্কি মন্ত্রীও রয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার সুদান সফরের মাধ্যমে তিনি ঐতিহাসিক সফর শুরু করেন। ঐতিহাসিক এই সফরে তিনি আফ্রিকার তিউনিশিয়া ও শাদে যাবেন।

কোন তুর্কি প্রেসিডেন্টের এটি প্রথম সুদান ও শাদ সফর। যদিও এরদোয়ান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এর আগেও সাদে গিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ সফরে তার সঙ্গে সফরসঙ্গী হয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলু, শিক্ষামন্ত্রী ইসমেত ইলমায, কৃষিমন্ত্রী আহমেদ এসরিফ ফেকিবাবা, জ্বালানিমন্ত্রী বেরাত আলবাইরাক, সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী নূমান কুতুলমাস, যোগাযোগমন্ত্রী আহমেদ আরসালান, অর্থমন্ত্রী নিহাত জেইবেকি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নুরুদ্দীন চানিকলি, সেনাপ্রধান (চিফ জেনারেল অব স্টাফ) হালুসি আকার। এছাড়াও এ সফরে দেশটির প্রায় দেড় শত ব্যবসায়ী রয়েছেন।

সুদানে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত ড. ইরফান নাজিরউগলু জানান, সুদান সফরে প্রথমে দেশটির প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হবেন এরদোয়ান। এ সফরে দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি বিশেষ করে জেরুজালেম ইস্যুতে ট্রাম্পের ঘোষণার পর ফিলিস্তিনের আঞ্চলিক নিরাপত্তায় করণীয় সম্পর্কে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আলোচনা করবেন।

তুর্কি রাষ্ট্রদূত দাবি করে বলেন, এই সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরালো করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

সুদানের সঙ্গে চুক্তি: ওই সফরে সুদানের সঙ্গে তুরস্কের বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা তৈরি করবে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পরিমাণ বাণিজ্য বিদ্যমান রয়েছে।

২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এরদোয়ান যখন সুদান সফর করেছিলেন তখন দুই দেশের মধ্যে ১৫০ মিলিয়ন বাণিজ্য বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলারে- উল্লেখ করেন সুদানে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত ড. ইরফান নাজিরউগলু।

শাদ ও তিউনিশিয়া সফর: সুদান সফর শেষে মঙ্গলবার শাদের রাজধানী এনজামেনায় যাবেন এরদোয়ান। তিনদিনের সফরের শেষ দিন যাবেন তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিশে। সেখানে তিনি বিজনেস ফোরামে বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনা করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, সফরে দেশটির সঙ্গে কয়েকটি বিষয়ে চুক্তি সম্পন্ন করা হতে পারে ।

সূত্র: আনাদলু এজেন্সি, ডেইলি সাবাহ