হঠাৎ সৌদি সফরে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী

দুই দিনের সফরে সৌদি আরব যাচ্ছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালী ইলদিরম। আগামী বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর তিনি এ সফর শুরু করবেন। স্থানীয় সময় রোববার তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আনাদলু এজেন্সির।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদির তৎকালীন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ নায়েফ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদকে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় স্বাগত জানান তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালী ইলদিরম। ছবি: আনাদলু এজেন্সি

খবরে বলা হয়, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য এবং সমসাময়িক বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে সৌদি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে এ বিষয়ে একাধিক কর্মকর্তা তাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। 

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতির পর এটিই সৌদিতে কোনো তুর্কি নেতার সফর। গত সপ্তাহে আগে দেশটিতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সফর করে গেছেন।

প্রসঙ্গত, জেরুজালেম ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের সবাই ঐক্যবদ্ধ। এ ঐক্যবদ্ধের ফলে জাতিসংঘেও ফিলিস্তিনের পক্ষে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিস্ময়করভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অনৈতিক সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ১২৮টি দেশ ভোট দেয়। 

সৌদি আরব অর্থনৈতিকভাবে বেশ প্রভাবশালী আর সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী দেশ তুরস্ক আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিভিন্ন ইস্যুতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। এসব দৃষ্টিকোণ থেকে তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর এ সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।

বিগত বছরগুলোতে সৌদি আরবের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক বৃদ্ধি হলেও কাতার ইস্যুতে দুই দেশ দুই মেরুতে অবস্থান নেয়। সৌদি জোটের দেয়া অবরোধের বিপক্ষে কাতারের পাশে দাঁড়ায় তুরস্ক। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও সেনাপ্রেরণসহ তুরস্কের কূটনৈতিক ভূমিকার কারণে অবরোধের কার্যকরিতা দৃশ্যমাণ হয়নি। এছাড়া সৌদির বর্তমান যুবরাজের ‘উদারপন্থী ইসলাম তত্ত্বের’ বিরুদ্ধে সরাসরি বক্তব্য দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এসব কারণে তুরস্কের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। 

কোনো সূত্রের উদ্ধৃতি না দিয়ে তুরস্কের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, কাতার ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষত দূর করে প্রধানমন্ত্রী ইলদিরম এ বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে চেষ্টা চালাবেন।

সূত্র: আনাদলু এজেন্সি, হুররিয়াত ডেইলি নিউজ, ডেইলি সাবাহ