মার্কিন সহায়তা: বাংলাদেশে কমছে আর বাড়ছে ইসরায়েলে

বাংলাদেশেসহ অনেক দেশে অর্থ সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি বছর অন্য দেশকে সহায়তা করার পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ বছর বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র আড়াই হাজার কোটি ডলার। অথচ গত কয়েক বছর ধরে এ খাতে গড়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ ছিল।

তবে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশগুলোতে অর্থ সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানোর ঘোষণা আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাসিস্ট্যান্স বিভাগ থেকে দেয়া নতুন তথ্যে দেখা গেছে ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে এবং বাংলাদেশসহ অন্যান্য অনেক দেশে সহায়তার পরিমাণ বিগত বছরের তুলনায় কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

তবে সহায়তা তালিকার ২৫ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের জন্য কোন হুশিয়ারি উচ্চারণ করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন আর্থিক সহায়তা বিবরণ থেকে জানা যায়, গত বছর বাংলাদেশেকে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা (২২ কোটি ডলার) বরাদ্দ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। এ বছর তার পরিমাণ প্রায় ৬০০ কোটি টাকা (৪০ শতাংশ) কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচয়ে বড় দাতা দেশ হিসেবে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৫০টি দেশে বিভিন্ন খাতে আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে। পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ইউএসএআইডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে এ অর্থ প্রদান করা হয়। গত বছর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এ অর্থ সাহায্য কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ডিসেম্বরে জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির সময় ইসরায়েলের বিপক্ষে ভোট না দেয়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন যে হুমকি দিয়েছিল অর্থ সাহায্য কমিয়ে দেয়া তারই বাস্তবায়ন। হুমকির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে পাকিস্তান ও ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য দেশগুলোর ওপর থেকে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা তুলে নেয়া শুরু করেছে দেশটি।