এই সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ

মাত্রই শেষ হলো বর্ষা। এই সময় বাড়ির চারপাশে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। ফলে এই সময়ে মশার বংশবিস্তারও ঘটে বেশি। আর মশা মানেই সংক্রমিত জ্বর অর্থাৎ ডেঙ্গু, টাইফয়েড, সাধারণ ভাইরাল জ্বর এবং ফুসফুস ও প্রস্রাবের সংক্রমণের আশঙ্কা। এ বছর বৃষ্টি বেশি হয়েছে বলে এইসব রোগের প্রকোপও বেশি।

সাধারণত অধিকাংশ জ্বরই পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এর মধ্যে ভালো না হলেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। 

জ্বর অনেক বেশি হলে ডেঙ্গু জ্বর কিনা তা পরীক্ষা করান। সাধারণত এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গুর ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে এবং এর ফলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় মানুষ। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ডেঙ্গু জ্বরের কোনো কার্যকরী প্রতিষেধক নেই। টিকারও ব্যবস্থা নেই। তবে প্রথম থেকেই নিবিড় পরিচর্যার মধ্যে রাখলে ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ সম্ভব।

হঠাৎ করে জ্বর এলে ডেঙ্গু কিনা তা পরীক্ষা করান। জ্বরের সাথে সারা গায়ে ব্যথা। বিশেষ করে কপাল ও চোখে ব্যথা থাকে। চোখের মনি নাড়ালে, এদিক-ওদিক তাকালে চোখে ব্যথা অনুভূত হয়।

এ সময় শরীর থেকে রক্ত নির্গত হয়। দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে। পায়খানার সাথেও রক্ত বের হয়। কালো কিংবা লালচে রঙের পায়খানা হলে বুঝতে হবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। কখনও কখনও প্রস্রাবের সাথেও রক্ত নির্গত হয় অনেকের।

রোগীর কী ধরণের লক্ষণ প্রকাশ পায় তার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা করাতে হবে। সাধারণত অন্যান্য ভাইরাল জ্বরের মতো ডেঙ্গুও সাত দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে প্রাথমিক অবস্থা থেকেই চিকিৎসা না করালে রোগীর স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটে। 

এই সময় বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি খেতে হয়। সাথে তরল খাবার, স্যালাইন খেতে হবে। বিশ্রাম তো আছেই। সারা গায়ে ব্যথা অনুভূত হলেও কোনো ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। ডেঙ্গু বোঝা মাত্রই নিকটস্থ হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করান।

আপনি আরও পড়তে পারেন

মোটা হতে চাইলে

মরিচ খেলে মৃত্যু ঝুঁকি কমে

জন্ডিস রোধে আদর্শ খাবার