রোহিঙ্গা ইস্যুতে তদন্ত চায় আইসিসি প্রসিকিউটর

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত করে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তাদের মূল উদ্দেশ্য তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা।

সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে করা এক আবেদনে প্রসিকিউটর ফাতোও বেনসুদা বলেন, ‘এটা বিমূর্ত কোনো প্রশ্ন নয়। বরং এ আদালত ওই ঘটনার তদন্ত এবং সম্ভব হলে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে কি না- তা সরাসরিই জানতে চাওয়া হয়েছে।’

বিচারিক এখতিয়ার নিয়ে এই প্রশ্নের মূল কারণ হল- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এ আদালতের সদস্য হলেও মিয়ানামার তা নয়। তবে প্রসিকিউটর বেনসুদা মনে করছেন, ‘দেশত্যাগে বাধ্য করা যে ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ, তার ধরণ বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারিক এখতিয়ারের পক্ষে রুল এলে, তাতেও বিষয়টি বিচারের জন্য একটি আইনি কাঠামোয় দাঁড় করানো যাবে।’

অবশ্য আন্তর্জাতিক আইনে দেশত্যাগে বাধ্য করার অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে যে অস্পষ্টতা রয়েছে এবং এ বিষয়ে বিচার করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাও স্বীকার করেছেন ফাতোও বেনসুদা।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত বছর ২৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর হামলার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ একে বর্ণনা করে আসছে 'জাতিগত নির্মূল অভিযান' হিসেবে। যদিও আন্তর্জাতিক আইনে দেশান্তরে বাধ্য করার বিষয়টি মানবতা বিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে। ইউএনবি।