পুতিনের সামনে নতুন রেকর্ডের হাতছানি

বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে চতুর্থবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভ্লাদিমির পুতিন আজ সোমবার শপথ নিতে যাচ্ছেন। আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার ক্ষমতায় থাকার কথা। আর এই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলে নতুন রেকর্ড গড়বেন পুতিন।

গত ১৮ বছর ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা পুতিন গত মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৭৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন। এবারের মেয়াদ পূর্ণ হলে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ২৪ বছর থাকার মাইলফলক স্পর্শ করবেন তিনি। ফলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময় রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড করতে যাচ্ছেন পুতিন। এর আগে সোভিয়েত আমলে দেশটি সর্বোচ্চ সময় শাসন করেছিলেন জোসেফ স্ট্যালিন।

বিবিসি জানিয়েছে, পুতিন প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং পরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ১৮ বছর ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় আছেন। তার এই দীর্ঘ শাসনকালকে বিরোধীরা রাশিয়ার জার বা সম্রাটের রাজত্ব বলে বর্ণনা করে থাকেন। যদিও তিনি আজ আরও ছয় বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত ভোটার জরিপ সংস্থা ভিটিএসআইওএম জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন ৭৬ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট প্রার্থী পাভেল গ্রুদিনিন পেয়েছেন মাত্র ১১.২ শতাংশ ভোট।

বিপুল ভোটে পুতিনের জয়কে সবধরনের নির্বাচনে সেরা সাফল্য হিসেবে দেখা হলেও নির্বাচনে নানা ধরনের অনিময়ের অভিযোগ তুলেছিল আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।

দেশটির সবচেয়ে পরিচিত বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি দুর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে লড়তে পারেননি। তার দাবি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই রাজনৈতিক উদ্দেশমূলকভাবে এ সাজা দেয়া হয়েছে।

পুতিনের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলেন, পাশ্চাত্যের মোকাবিলায় রুশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করা হবে। একই সঙ্গে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে। জরিপের ফল প্রকাশের পর পুতিন সমর্থকরা বলছেন, জনগণ পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে পুতিনের কঠোর অবস্থানকে সমর্থন করেছে। 

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ভ্লাদিমির পুতিন। ২০০০ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ছিল চার বছর। বর্তমানে রুশ প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ছয় বছর। তবে পরপর দুই দফার বেশি কোনো প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকতে পারেন না।

এদিকে সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনের জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন এই রুশ নেতা।