এরদোয়ানকে হারাতে সেক্যুলারদের সঙ্গে ইসলামপন্থী দলের জোট!

তুরস্কের ঐতিহাসিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। অন্যদিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও তার দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি-একেপি পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। অবশ্য জোটগতভাবে একেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।

তুরস্কে এবার একসঙ্গে প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ান ৫২.৫৫ ভাগ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন। এরদোয়ান যদি ৫১ ভাগের কম ভোট পেতেন তাহলে দ্বিতীয় দফা দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ভোট হতো।

পার্লামেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের দল একেপি নেতৃত্বাধীন দ্বি-দলীয় জোট ৫৩.৬২ ভাগ ভোট পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। অবশ্য এককভাবে একেপি ৪২.৪৯ ভাগ ভোট পেয়ে পার্লামেন্টে তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। আগের নির্বাচনে দলটি একাই ৪৯.৫ ভাগ ভোট পেয়েছিল।

তবে এবারের নির্বাচনে অনেকগুলো বিতর্ক ছাপিয়ে আলোচনায় ছিল দেশটির কট্টর ইসলামপন্থী দল সাদেত পার্টি তথা ফেলিসিটি পার্টি (এসপি)। তারা এরদোয়ানকে হারাতে বিরোধী দল উগ্র-সেক্যুলার রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) সঙ্গে জোট করে।

অবশ্য নির্বাচনে এই ইসলামপন্থী দলটির চরম ভরাডুবি হয়। পার্লামেন্ট নির্বাচনে তারা পেয়েছে মাত্র ১.৩৫ ভাগ ভোট। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলটির নেতা তেমেল কারামোল্লাওগলু ১ ভাগ ভোটও পাননি। তিনি পেয়েছেন ০.৯ ভাগ ভোট।

একটি উগ্র-সেক্যুলার দলের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেয়ার যুক্তি হিসেবে তেমেল বলেন, এরদোয়ান রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশকে একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি সারা বিশ্বের মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি।

অবশ্য সেক্যুলার কিংবা স্বৈরশাসকদের সঙ্গে কট্টর ইসলামপন্থী দলগুলোর জোট মুসলিম দেশগুলোতে এটাই প্রথম নয়। এরআগে মিশরের ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে গিয়ে সেনাশাসক আবেদল ফাত্তাহ আল-সিসিকে সমর্থন দিয়েছিল দেশটির সালাফিপন্থী কট্টর ইসলামী দল আন-নূর পার্টি।