থাই গুহায় উদ্ধার অভিযান: অন্ধকার থেকে আলোতে 'ছয়জন'

প্রত্যাশিত সময়ের অন্তত এক ঘণ্টা আগেই থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ও তাদের একজন কোচের মধ্য থেকে ছয়জনকে উদ্ধা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে।

রোববার দুপুরের দিকে প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ গুহায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বাংলাদেশ সময় রাত নয়টার দিকে কয়েকজনকে উদ্ধারের আশাও প্রকাশ করা হয় তখনই। কিন্তু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটার মধ্যেই তিনজনের এবং আটটার মধ্যে আরো তিনজন উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায় ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুহার প্রবেশমুখে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটার পরপর দুটি অ্যাম্বুলেন্স দেখা যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে একটি হেলিকপ্টারও সেখানে অবতরণ করে।

রয়টার্স ছয়জনের উদ্ধারের কথা বললেও আরো একটি সংবাদ মাধ্যম চারজনকে উদ্ধারের দাবি করেছে। প্রকৃত কতোজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তা টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপার স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি।

এর আগে, উদ্ধার অভিযানে সম্পৃক্ত থাকা একজন অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক দুই সপ্তাহ ধরে আটকে থাকাদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল যারা, তাদেরকে আগে উদ্ধারের পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ অনুসারেই কিশোরদের উদ্ধার করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।

এই ভয়ঙ্কর ঝুঁকিপূর্ণ উদ্ধার অভিযানে ছয়জন বিদেশি এবং পাঁচজন থাই নেভি ডুবুরি অংশগ্রহণ করেছেন। আক্ষরিক অর্থেই জীবনবাজি রেখে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। এর আগে, আটকে পড়া কিশোরদের কাছে অক্সিজেন ট্যাংক পৌঁছে দিয়ে ফেরার সময় একজন ডুবুরির মৃত্যু হয়। তখনই মূলত এই উদ্ধার অভিযানের ঝুঁকি কতো বেশি, সে সম্পর্কে ধারণা পান অভিযানকারী কর্তৃপক্ষ।

একজন ডুবুরির মৃত্যুর পরও উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ দাবি করেন যে, এই অভিযান যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। একজনের মৃত্যু একটি দুর্ঘটনা এবং এই দুর্ঘটনা অভিযানকে ব্যহত করবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন বিকেলের অনুশীলন শেষে গুহায় বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়ে কিশোররা। প্রবল বর্ষণে গুহার ভেতরে পানি ঢুকে তাদের ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেখানে আটকে পড়ে তারা। এর নয় দিন পর একজন ব্রিটিশ ডুবুরি তাদেরকে সেখানে খুঁজে পান এবং উদ্ধার অভিযান এরপরই শুরু হয়। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়া এবং কঠিন পরিস্থিতির কারণে উদ্ধার অভিযান নানাভাবে ব্যহত হতে থাকে।