ইমরান কি পারবেন সরকার গঠন করতে?

খেলোয়াড়ি জীবনে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানকে ঘোল খাইয়েছেন ইমরান খান। এবার রাজনৈতিক জীবনে বিরোধীদের 'ষড়যন্ত্র' রুখে দিয়ে ঠিক কতোটুকু সফল হতে পারেন সেটাই এখন বিরাট প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে তার সামনে। কারণ পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) সরকার গঠন এখনও অনেকখানি দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে।

সদ্য শেষ হওয়া পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ১১৬টি আসন জিতেছে ইমরানের দল। সরকার গঠন করতে হলে ১৩৭টি আসন দরকার হয়। এই মুহূর্তে আর সেই সুযোগ নেই। তবে অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন সম্ভব। কিন্তু সেই জোটটাই এখনও গড়া হচ্ছে না।

এদিকে এখনও প্রধান সাতটি কেন্দ্রের দুটিতে ইমরানকে জয়ী ঘোষণা করেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন। বাকি পাঁচটিতে জয় পেলেও এই দুটির কারনে ইমরানের শপথ গ্রহণ পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইসলামাবাদের এনএ-৫৩ এবং লাহোরের এনএ-১৩১ কেন্দ্রে ইমরানকে জয়ী ঘোষণা না করার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, এই দুই কেন্দ্রে ইমরানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

ভোটদানের সময় বুথের ভেতরে ভিডিও ধারণ এবং বিভিন্ন বুথে পিটিআই ভোট কারচুপি করেছে- বিরোধীদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা থেকে বিরত আছে নির্বাচন কমিশন। অপর কেন্দ্রে লাহোর আদালতে চলা একটি মামলার জেরে কমিশন জয়ী ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি।

এছাড়া ইমরানকে ঠেকাতে সব বিরোধীরা একজোট হওয়ার পরিকল্পনাও আঁটছেন। বিদায়ী ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) ৬৪টি এবং সাবেক পাকিস্তান পিপল’স পার্টির ৪৩টি আসনসহ ছোটখাট অন্যান্য দলগুলোর আসন যোগ করলেই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় 'ম্যাজিক ফিগার'-এর দেখা পেতে পারেন বিরোধীরা। তবে সেটা একটু ঝামেলারই বটে।

তবে শেষ কথা হচ্ছে, সহসাই সরকার গঠন করা হচ্ছে না ইমরানের। ক্রিকেট খেলার মতো রাজনীতির ক্রিজে বিরোধী ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত না করতে পারলে সরকার গঠন সুদূর পরাহত পিটিআইয়ের জন্য।