ইদলিব যুদ্ধ আপাতত ঠেকিয়ে দিলেন এরদোয়ান!

বলতে গেলে সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ এলাকা ইদলিব। সেখানে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। এলাকাটি দখলে নিতে রাশিয়ার নেতৃত্বে অভিযান শুরু করেছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী। তবে এই যুদ্ধ ঠেকাতে শুরু থেকেই মরিয়া চেষ্টা শুরু করে তুরস্ক।

সীমান্তবর্তী এলাকাটি মূলত তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে তুর্কি সেনারাও। ইদলিবে যুদ্ধ ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার দৌড়-ঝাঁপের পর নিজেই মাঠে নেমে পড়েন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।

সিরিয়া নিয়ে শুক্রবার ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয় তিন জাতি সম্মেলন। এতে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এতে ইদলিব সমস্যার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দেন এরদোয়ান।

এনিয়ে দিনভর ধারাবাহিকভাবে টুইট করেছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। একটি টুইটে তিনি বলেন, ‘আসাদ সরকারের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে তুরস্ক পাশে বসে এটা নিরবে দেখবে না এবং আবার এই খেলায় অংশও নেবে না।’

সংকটের টেকসই রাজনৈতিক সমাধানে ‘আস্তানা অনুপ্রেরণা’র ওপর জোর দিয়ে এরদোয়ান বলেন, ‘সংকট শুরুর পর থেকেই তুরস্ক সম্ভাব্য রক্তগঙ্গা বন্ধের চেষ্টা করে যাচ্ছে। কোনো ধরনের বৈষম্য না করেই সিরীয় ভাইদের সাহায্যে আমরা ছুটে এসেছি। আজও আমরা চাই, যেমনটা আগে চেয়েছিলাম- আমাদের সিরীয় ভাইবোনরা যাতে কোনো কষ্ট ভোগ না করে, এমনকি নাক থেকে রক্তপড়ার কারণেও।’

এরদোয়ান প্রশাসনের দৌঁড়ঝাপে দৃশ্যত ইদলিব যুদ্ধ কিছু সময়ের জন্য থমকে গেছে। তেহরান সম্মেলনের পর নতুন করে এখন পর্যন্ত কোনো হামলা ও রক্তপাতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এরদোয়ান শেষ পর্যন্ত সফল হবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কারণ, রাশিয়া ও ইরান দ্রুত বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করে সিরিয়া থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে চায়।