যুদ্ধ শেষ, এরপরও সহিংসতায় বাড়ছে হতাহত

২০১৪ সালে আফগানিস্তানে যৌথবাহিনী যুদ্ধ সমাপ্ত করার পর থেকেই দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে তালেবান ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সাথে লড়াইয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দিন দিন অস্বাভাবিক আর অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।

রোববার চারটি পৃথক হামলায় সামরিক-বেসামরিক ও বিদ্রোহী মিলিয়ে ১৩০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।।

সংবাদসংস্থাগুলো জানিয়েছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশের এক তল্লাশি চৌকিতে বিদ্রোহীদের হামলায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কমপক্ষে ৯ সদস্য নিহত এবং আরো ছয়জন আহত হয়েছেন। প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র গিলানি ফরহাদ জানান, শনিবারের এ হামলার সময় বন্দুকযুদ্ধে প্রায় ১০ জন বিদ্রোহী নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তালেবানকে দায়ী করেন তিনি।

এছাড়া রাজধানী কাবুলে আহমাদ শাহ মাসুদ নামে এক আফগান নেতার শোক মিছিলে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন সাতজন নিহত হয়। পুলিশের মুখপাত্র হাশমত স্ট্যানিকজাই বলেন, জনাব মাসুদ উত্তর আফগানের নেতা ছিলেন, যিনি ২০০১ সালে আল-কায়েদার হাতে নিহত হন। রোববার তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা বন্দুকধারীরা রাস্তায় নেমে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। যাতে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়।

এদিকে মার্কিন দূতাবাসের কাছে অবস্থিত মাসুদ স্কোয়ারে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী সন্দেহে গুলি করে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া ;বাগলান প্রদেশে তালিবান বিদ্রোহীদের আরেক হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে মধ্য আফগানিস্তানের ওয়ার্ডাক প্রদেশের ডে মিরাদদ জেলার পুলিশ সদর দফতরে হামলা চালিয়েছে তালেবান জঙ্গিরা। এতে জেলা পুলিশ প্রধান সাইয়িদ ইউনূসসহ ১০ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।